ঝিনাইদহে সবজির দাম বাড়ায় খুশি কৃষক, হতাশ ক্রেতারা

ঝিনাইদহে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। নি¤œ আয়ের ও মধ্য বৃত্তরা হিমশিম খাচ্ছে সবজি বাজারে। গত সপ্তাহের চেয়ে এখন সব ধরনের সবজি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে বেক্রি হচ্ছে।

বিশেষ করে আগাম শীতকালীন সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে কৃষক খুশি হলে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতা ও ভোক্তাদের মাঝে। রোববার শহরের নতুন হাটখোলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে পাইকারী পর্যায়ে প্রতি কেজি বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমোটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা,

মুলা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, লাউ প্রকার ভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজী ২০ থেকে ২৫ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি। দাম বেশী হওয়ায় খুশি কৃষক।

শৈলকুপা উপজেলার পদমদী গ্রামের কৃষক আয়ুব হোসেন বলেন, আমি এ বছর ২ বিঘে জমিতে আগাম শীতকালীন সীমের আবাদ করেছি। পাইকারী বাজারে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। বর্তমানে বাজারে সীমের দাম বেশি থাকায় আমি এবার লাভের আশা করছি।

সদর উপজেলার পবহাটি কৃষক ইয়াকুব আলী বলেন, আগাম মুলা আবাদ করে ভালো দাম পাচ্ছি। শীতকালে যে মুলা ২ বা ৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় সেই মুলা আজ ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। এমন বাজার দর যদি আরও ২ সপ্তাহ থাকে তাহলে খরচ উঠে বেশ লাভ হবে বলে আশা করছি।

সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কৃষক আমিনুল হক বলেন, গত সপ্তাহের থেকে এই সপ্তাহে সবজির বাজার একটু বেশি। প্রতিকেজি সবজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারদর এ অবস্থায় থাকলে আমরা খুশি। বৃষ্টির কারণে সবজির জমিতে কিছুটা সমস্যা দেখা দিয়েছে তবে দাম ভালো পাওয়ায় সেই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব।

নতুন হাটখোলা বাজারের ব্যবসায়ী পলাশ বিশ্বাস বলেন, গত ২ সপ্তাহ ধরে ঝিনাইদহে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে মরিচ, সীমসহ বিভিন্ন সবজি বাজারে কম আমদানী হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম আসায় দাম একটু চড়া। আশা করছি কিছুদিন পর শীতকালীন সবজি বাজারে এলে দাম কমবে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, আগাম শীত কালীন সবজি আবাদে কৃষক বেশি লাভবান হচ্ছে। অন্যান্য সবজিরও ভালো দাম পাচ্ছে তারা। বর্তমানে সবজির ভালো ফলন আর বাজারে সরবরাহকৃত সবজি নিরাপদ উপায়ে উৎপাদনে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।