নালায় পড়ে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নালায় পড়ে যাওয়ার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রী শেহেরীন মাহমুদ সাদিয়ার (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মাজার গেট এলাকা থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

নিহত শেহেরীন নগরের হালিশহর বড়পোল এলাকার মোহাম্মদ আলীর মেয়ে। তিনি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার রাতে মামার সঙ্গে চশমা কিনতে আগ্রাবাদ মাজার গেট এলাকায় গিয়েছিলেন। ফেরার পথে সোয়া ১০টার দিকে নালায় পড়ে যান।

ভাগনিকে উদ্ধারের জন্য সঙ্গে সঙ্গে নালায় লাফ দেন মামাও। কিন্তু আবর্জনা ভর্তি নালায় ভাগনির হদিস পাননি তিনি। ফায়ার সার্ভিসের আগ্রাবাদ কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক নিউটন দাশ জানান, নালায় পড়ে ছাত্রী নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

কিন্তু ওই নালায় আবর্জনার বিপুল স্তূপ জমে ছিল। আবার আবর্জনার নিচে পানি চলাচল ছিল। এ কারণে পড়েই তলিয়ে যান ওই ছাত্রী। তিনি আরও জানান, রাত ২টা ৫০ মিনিটের দিকে নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে ৩০ গজ দূর থেকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট সকালে চট্টগ্রামের মুরাদপুর এলাকায় খালে পড়ে তলিয়ে যান সালেহ আহমদ নামে এক সবজি ব্যবসায়ী। এখনও তার খোঁজ মেলেনি। এছাড়া গত ৩০ জুন নগরীর ষোলশহর চশমা হিল এলাকাতেও এমন দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে পাশের সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় খালে পড়ে যায় একটি সিএনজি অটোরিকশা।

এতে তলিয়ে মারা যান চালক সুলতান (৩৫) ও যাত্রী খাদিজা বেগম (৬৫)। এর আগে ২০১৮ সালের ৯ জুন আমিন জুট মিল এলাকায় নালায় পড়ে বৃষ্টির পানির স্রোতে ভেসে যায় শিশু আল আমীন (৭)। পরে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।

২০১৭ সালের ২ জুলাই এমএম আলী সড়কে রয়েল গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন বড় নালায় পড়ে তলিয়ে যান সাবেক সরকারি কর্মকর্তা শীলব্রত বড়ুয়া (৬২)। পরদিন প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে মিয়াখান নগরে চাক্তাই খালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।