১২ মাসের বেশি বেতনভাতা বকেয়া থাকলে পৌরসভা বাতিল

যেসব পৌরসভা ঠিকমতো বেতনভাতা পরিশোধ করতে পারবে না, সেগুলোর পরিষদ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সেখানেই নতুন ওই বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

সভাশেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা একটানা ১২ মাসের বেশি বকেয়া থাকলে সেসব পৌরসভা বাতিল করা যাবে। তবে বর্তমানে ৮০ শতাংশ পৌরসভা নিজস্ব আয় থেকে কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছে বলে জানান তিনি।

আইনে বলা হয়েছে, দেশের পৌরসভাগুলোতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নির্ধারিত পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখনকার মতো অতিরিক্ত সময় থাকতে পারবেন না। কোনো কারণে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করা না গেলে ছয় মাসের জন্য প্রশাসক নিয়োগ করতে পারবে সরকার।

প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মকর্তা বা সরকার যদি কাউকে যোগ্য মনে করে, তা হলে তাদের প্রশাসক নিয়োগ করবে। এই ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ পাঁচ বছর।

কিন্তু পরবর্তী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আগের নির্বাচিতরাই পৌরসভা চালান। এতে বিভিন্ন ইস্যুতে মামলা করে কেউ কেউ ৮, ১০ বছর— এমনকি ১৬ বছর পর্যন্ত থেকে যাচ্ছেন। এ জন্য আইনটি সংশোধন করে ছয় মাসের প্রশাসক নিয়োগের বিধান যুক্ত করা হয়েছে ।

প্রসঙ্গত বর্তমানে সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংশোধিত আইন পাস হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ পদক্ষেপ নিয়ে যেখানে জটিলতা রয়েছে সেখানে প্রশাসক বসাবে।

ইউনিয়ন পরিষদ, জেলা পরিষদ আইনও সংশোধন করা হবে। এ ছাড়া পৌরসভার ‘সচিব’ পদ পরিবর্তন করে ‘পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে আইনের খসড়ায়।