বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা সবাই একমত পোষণ করেছি মাঠের আন্দোলনের বিষয়ে। এখন শুধুমাত্র একটি ডাকের অপেক্ষা। অর্থাৎ গণতন্ত্রের মুক্তিতে মাঠের আন্দোলনে জন্য যে কাউকে একটা ডাক দিতে হবে।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই গোটা জাতির মুক্তি। আর তার মুক্তির পূর্বশর্তই হলো- এই সরকারের পতন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে তারেক জিয়া ঐক্য পরিষদের এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুক্তার আখন্দেও সভাপতিত্বে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি লায়ন মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সবারই একটা শেষ আছে। প্রশাসনের যারা দালালি করে তাদেরও একটা শেষ আছে। যারা দালালি করে তারা কখনও মর্যাদা পায় না। বর্তমানে প্রশাসনের অনেকেই ক্লান্ত, যে দেশে হচ্ছেটা কি। এখন একটা আন্দোলন দরকার তাহলেই দেখবেন প্রশাসন ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপির এই নীতি-নির্ধারক বলেন, গত সাড়ে তিন বছর থেকেই আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন করছি। এখন থেকে আমরা তার মুক্তির আন্দোলন করবো না। এখন থেকে সরকার পতনের আন্দোলন করবো। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির পূর্ব শর্ত হলো এ সরকারের পতন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো কিছুই তোয়াক্কা করে না। দেশের মানুষের অধিকার বঞ্চিত করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা এবং দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে একটা সময় দেখা যাবে এ দেশটাই আর থাকবে না। সেজন্য আমাদের একটাই শর্ত এ সরকারের পতন চাই। স্বৈরতন্ত্রের পতন চাই, গণতন্ত্রের মুক্তি চাই।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের অন্তর্দ্বন্দ্ব, প্রশাসনে কিছু কিছু লোকের উপর থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া- এসব কারণে তারা লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। এখন একটা আন্দোলন করতে পারলে তারা ক্ষমতা থেকে সরে যেতে বাধ্য হবে।
