বিশ্ব ডাক দিবস আজ

আজ ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘ইনোভেট টু রিকভার’ তথা পুনরুদ্ধারে উদ্ভাবন। বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও দিনটি উদযাপিত হচ্ছে।

১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বের্ন শহরে ২২টি দেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে গঠিত হয় ‘ইউনির্ভাসেল পোস্টাল ইউনিয়ন’।

পরবর্তীতে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘে উত্থাপিত একটি প্রস্তাব পাসের মাধ্যমে ১৯৬৯ সালে ৯ অক্টোবরকে বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের সদস্যপদ অর্জন করে বাংলাদেশ।

এরপর থেকে দেশে প্রতিবছর বিশ্ব ডাক দিবস পালিত হয়ে আসছে। ইতিহাস বলছে, ১৮৪০ সালে প্রথম ডাকটিকিট ব্যবহার হয় ব্রিটেনে। এর একযুগ পরে ১৮৫২ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে ডাকটিকিটের প্রথম ব্যবহার শুরু হয়।

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই ভারতীয় নাগরিক বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা আটটি ডাকটিকিট কলকাতায় বাংলাদেশ মিশন ও লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।

কূটনৈতিক প্রক্রিয়া হিসেবে স্বাধীনতার সপক্ষে বিশ্ব জনমত গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করে মুজিবনগর সরকার। বাংলাদেশ ডাক অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশ্ব ডাক দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর গুলিস্তানস্থ ডাক ভবনের তিন তলায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এ উপলক্ষে আন্তর্জাতিক হাতের লেখা প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান লাভকারী সিলেটের একজন মেয়েকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। জানা যায়, দেশের ১০ হাজার ডাকঘরে প্রায় ৪০ হাজার কর্মী ডাক সেবায় নিয়োজিত। দেশে ৮ হাজার ৫০০ ডাকঘরকে রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় তৃণমূল জনগোষ্ঠী সরকারের ২০০ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে।