কমবয়সীরাও টিকা পাবে: সেব্রিনা

১২ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের জন্য এক ডোজ টিকা দেয়ার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিয়েছে। সেই টিকা এখন আমাদের দেশে আছে। এই টিকাগুলো দেয়ার জন্য আমরা প্রস্ততি নিচ্ছি। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করবে কবে, কোথায়, কীভাবে কমবয়সীদের টিকা দেয়া হবে।

সোমবার ১১ অক্টোবর জাবির শিক্ষার্থীদের জন্য করোনা টিকার বিশেষ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা এসব কথা বলেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণাকেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। মীরজাদী বলেন, যেহেতু এটার (টিকা দেয়ার প্রক্রিয়া) চেইনটা মেইনটেইন করাটা একটু জটিল,

সেজন্য আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে না দিয়ে তাদের জন্য আমরা আলাদা টিকাকেন্দ্র নির্ধারণ করবো। যেখানে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন স্কুল থেকে পর্যায়ক্রমে শিক্ষার্থীরা এসে টিকা দিয়ে যাবে।

মীরজাদী সেব্রিনা বলেন, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ২০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখন পর্যন্ত তৃতীয় ডোজ টিকা দেয়ার অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন দিলে বাংলাদেশও তা অনুসরন করবে।

তিনি বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসবো। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যেভাবে ও যে টিকা গুলোর অনুমোদন দিয়েছে এবং যাদেরকে টিকা দেয়া অনুমোদন দিচ্ছে আমরা সেভাবেই অনুসরণ করছি।

তিনি আরও বলেন, এখন বাংলাদেশ থেকে করোনা প্রতিরোধ করাটা প্রায়োরিটি। শিগগির দেশে সবার টিকা নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

প্রবাসী শ্রমিকদের আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। অন্য কোন প্রয়োজনে যারা বিদেশে যাবে তাদেরকে প্রায়োরিটি তালিকায় নিয়ে আসার সুযোগ হয়নি আমাদের।