কফিনে জিয়ার মুখ তার স্ত্রী-সন্তানরা দেখেননি: মতিয়া চৌধুরী

motia chowdhury
ফাইল ছবি

বিদ্রোহী সেনাসদস্যদের হাতে নিহত সাবেক সেনাশাসক ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মরদেহ তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার দুই সন্তান তারেক জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকো দেখেননি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, কফিনে জিয়ার মুখ তারেক-কোকো বা বেগম জিয়া কেউ দেখেনি। পঁচাগলা হোক, ব্রাশফায়ার করা হোক বাবার মরদেহের মুখ সন্তান দেখবে এটা তার অধিকার। কিন্তু জিয়ার মৃত্যুর পর তার মুখ কেউ দেখেনি। কফিনে জিয়ার দেহ থাকলে সবাই দেখত।

সোমবার বিকেলে শেরপুরের নকলা উপজেলার মুক্তমঞ্চে উপজেলার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মতিয়া চৌধুরী আরও বলেন, সত্য চিরকাল সত্য। তা একসময় প্রকাশিত হয়। আর মিথ্যা সবসময় মিথ্যা। দীর্ঘদিন পর হলেও দেশের মানুষ সত্য জানতে পারছে।

শেখ হাসিনাকে মহানুভব প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এতিমের টাকা চুরি করার দায়ে বেগম জিয়া জেল খাটছেন। তিনি বাড়ির কাজের লোককে জেলে নিয়ে তার সেবা করাচ্ছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে কাজের লোক নিয়ে যেতে পারেন।

শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। কাজেই শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটু কথা বলার আগে বিএনপির চিন্তা করে কথা বলা উচিত। তিনি বলেন, যতক্ষণ শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী সততার রাজনীতি করেন। অন্যরা এতিমের টাকা চুরি করেন।

এটাই প্রধানমন্ত্রীর সাথে অন্যদের পার্থক্য। হাওয়া ভবন-খাওয়া ভবন করে বেগম জিয়ার ছেলে দেশে লুটপাট করেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে জয় ও পুতুল দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনেন। এসময় জেলা, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন নালিতাবাড়ীতে ৮০০ মসজিদ ৮০ মন্দির ১৬ গির্জা ও ২০টি শ্মশানকে ১০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ ও ৫৩৭ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে নগদ ১ হাজার টাকা করে অনুদান দেন মতিয়া চৌধুরী। এছাড়া স্কুল,মসজিদ-মন্দিরে ৫ হাজার আমলকি,নিমসহ ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করেন।