ডিসেম্বরে ভাসানচরে রোহিঙ্গা নেয়া জোরদার হবে

ডিসেম্বর থেকে ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গা নেয়া জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৃহস্পতিবার ২১ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বলপ্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃংখলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির সভা শেষে একথা বলেন।

সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভাসানচরে ডিসেম্বর থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে আমাদের যে টার্গেট এক লাখ রোহিঙ্গা নিয়ে যাওয়ার সেটা আমরা জোরদার করব। যাতে ডিসেম্বর থেকে শুরু করে এক লাখ রোহিঙ্গা তারপর আরও অবশিষ্ট অংশ সেখানে নেব।

তাদের থাকা, নিরাপত্তা, আসা-যাওয়ার জন্য যা যা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সেগুলো সেখানে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্মহার আপনারা সেটা দেখেছেন।

লাগামহীনভাবে এদের পরিবারের পরিসর বেড়ে যাচ্ছে। জন্মহার নিয়ন্ত্রণ ও নতুন জন্ম নেয়া রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তিকরণের বিষয়টি আলোচনায় আসছে।

পরারাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন মিয়ানমার সীমান্তে এখন থেকে গুলি হবে, আপানার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সেই বিষয়টি আজকে সভায় এসেছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে গুলির আমাদের কোনো উদ্দেশ্য নেই। কেউ যদি সীমান্তের নিয়ম ভাঙে তখন বিজিবি ব্যবস্থা নেয়।

কেউ যদি ফায়ার ওপেন করে, বিজিবিও পাল্টা ফায়ার ওপেন করে। তিনি বলেন, নিরাপরাধ লোককে ফায়ার করা বিজিবির কর্ম নয়। বিজিবি যদি দেখে কেউ ফায়ার করছে, তখন তারা পাল্টা ফায়ার করে। এখানে ফায়ার করার জন্য বিজিবি নয়, বিজিবি সীমান্ত রক্ষা করার জন্য।

সীমান্ত রক্ষা করার জন্য যা যা প্রয়োজন, বিজিবিকে সেটা করার জন্য ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কাজেই নতুন করে আদেশ নির্দেশ সেখানে বিজিবির জন্য দেয়া হয়নি।