মাদক-অস্ত্র বন্ধে প্রয়োজনে গুলি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

abdul momen
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক ও অস্ত্রবাণিজ্য বন্ধে প্রয়োজনে গুলি ছোড়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। শুক্রবার দুপুরে সিলেটে একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

শুক্রবার সকালে বিমানযোগে ঢাকা থেকে সিলেটে এসে পৌঁছান ড. মোমেন। সকাল ১০টার দিকে তিনি নগরীর বালুচরস্থ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে একটি সভায় যোগ দেন।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে রিজলব টু সেইভ লাইভ কার্যক্রমবিষয়ক ওই আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের ১৮ নম্বর ময়নারঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটি মাদ্রাসায় আজ শুক্রবার ভোরে গুলি করে ও কুপিয়ে ৭ জনকে হত্যা করা হয়।

তারা সবাই ওই ক্যাম্পের এইচ-৫২ ব্লকের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র বা ভলান্টিয়ার। আরও কয়েকজনকে আহত অবস্থায় ক্যাম্প সংলগ্ন এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং-১ লম্বাশিয়া ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকে গুলি করে হত্যা করা হয় আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহকে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অব্যাহত এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ে আজ সিলেটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমনেকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে মন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একটি বড় সভা হয়।

ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাইরে যাতে আইনশৃঙ্খলা আরো উন্নত করা যায়, সে নিয়ে একটা বড় সভা গতকালকেই করেছি। এরপর (আজকের) দুর্ঘটনা, এটা তো খুবই আতঙ্কের বিষয়।

মুহিবুল্লাহ হত্যা এবং আজকের ঘটনার পেছনে যোগসাজশ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন লোকে বলছে যে, ওখানে ড্রাগের ব্যবসা হয়…আর কেউ কেউ তথ্য দিয়েছে,

কিছু উইপেন, কিছু বন্দুকটন্দুকও আনা হয়। আমরা এসব নিয়ে কালকে আলোচনা করেছি। আমার প্রস্তাব হলো, এই ড্রাগ ও অস্ত্র পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনে গুলি ছুড়তে হবে। এগুলো আমরা কালকে আলোচনা করেছি।

মোমেন বলেন, অনেক লোক ফেরত যেতে চায় না, তাদের স্বার্থে আঘাত লাগে, তারা হয়তো এসব অঘটন ঘটাচ্ছে। আমি ঠিক জানি না, জানতে হবে।