গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার পরিবর্তন চাই

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ক্ষমতার পরিবর্তন চাই। গণতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে আমরা জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।
এটা একমাত্র সম্ভব হবে যখন জনগণ ঐক্যবদ্ধ হবে।

শুক্রবার ২২ অক্টোবর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আধিপত্যবাদী আগ্রাসন ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রুখে দাঁড়াও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের ঐক্য ছাড়া ফ্যাসিস্ট শাসককে সরানো সম্ভব হয় না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জনতার ঐক্যের মাধ্যমে এদের সরাতে পারি। এছাড়া আমাদের কোনো বিকল্প নেই। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমি মনে করি, ভয়াবহ এই ফ্যাসিস্ট সরকার শত চেষ্টা করেও জনগণের ঐক্য নষ্ট করতে পারেনি।

আজকে পত্র-পত্রিকা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বলেন, কোথাও এই সরকারের কোনো সমর্থক নেই। তাদের সমর্থক খুঁজে পাওয়া যাবে না। এমনকি একজন সাধারণ শ্রমজীবী মানুষকে যদি জিজ্ঞাসা করেন, সেও বলবে যে কত দ্রুত এই সরকার ক্ষমতা থেকে যাবে। কারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

মঞ্চে পাশে বসা জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদের দিকে ইঙ্গিত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অনেকে আমার পাশে আছেন, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। ১৭৩ দিন হরতাল করেছেন। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন।

সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচনের সময় যদি সরকার নিরপেক্ষ না থাকে, তাহলে জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। আজ সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার আওয়ামী লীগ বাতিল করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখন মূল সঙ্কট হচ্ছে গণতন্ত্র। এটা ফিরিয়ে আনাই আমাদের চ্যালেঞ্জ। একটা ফ্যাস্টিস সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াই সহজ কাজ নয়। এই ধরনের শক্তির বিরুদ্ধে সব সময় অনেক ত্যাগ, রক্ত ও জীবন দিতে হয়েছে।