বিশ্বব্যাপী ধূমপায়ীর সংখ্যা কমছে: ডব্লিউএইচও

sigaret

বিশ্বে গত কয়েক বছরে ধীরে ধীরে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তামাক আসক্তির কারণে বিশ্বজুড়ে লাখো মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে দেশগুলোকে তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার তামাকের ব্যবহার নিয়ে একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ডব্লিউএইচও। তবে তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে ধূমপান করে এমন মানুষ ছিল প্রায় ১৩০ কোটি। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ১৩২ কোটি। ফলে আগের বছরের তুলনায় বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা দুই কোটি কমেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত বছর বিশ্বের ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৭ দশমিক ৮ শতাংশ নারী তামাকজাত পণ্য ব্যবহার করেছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো, এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সী তিন কোটি ৮০ লাখ কিশোর-কিশোরীও তামাকজাত পণ্যে আসক্ত।

২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা ১২৭ কোটিতে নেমে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বাড়লেও সাত বছরে বিশ্বের ধূমপায়ীর সংখ্যা পাঁচ কোটি কমবে। এ প্রতিবেদনে অবশ্য ইলেকট্রনিক সিগারেট ব্যবহারকারীদের হিসাবে ধরা হয়নি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, প্রতি বছর কম লোকের তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার করতে দেখাটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। আমাদের এখনও বহুদূর যেতে হবে। তামাক কোম্পানিগুলো তাদের প্রাণঘাতী পণ্য বিক্রি করে অনেক মুনাফা করে।

এ জন্য এর পক্ষে তারা সাফাই গায়। এ কাজে হাতে থাকা প্রতিটি কৌশল ব্যবহার করতে থাকবে তারা। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের কারণে প্রতি বছর বিশ্বে ৮০ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। তাদের বেশিরভাগই সরাসরি তামাক ব্যবহার করে।

তবে এর মধ্যে ১২ লাখ মানুষ সরাসরি ধূমপান না করে শুধু ধূমপায়ীদের সংস্পর্শে থাকার কারণে প্রাণ হারাচ্ছেন। তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমে যাওয়ার পরও কিছু সময় ধরে তামাক ব্যবহারের কারণে বার্ষিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।