প্রধানমন্ত্রীকে ভাসানীর মাজারে এসে দোয়া নেয়ার আহ্বান

jafor ullaha

মওলানা ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বুধবার ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলের সন্তোষে তার মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের নেতা মজলুম জননেতা আজকে আমরা তোমাকে স্মরণ করতে আসিনি। আজকে তোমার কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। ১৯৭২ সালে তুমি বলেছিলে কেউ খাবে, কেউ খাবে না, তা হবে না, তা হবে না। দুর্ভাগ্য ৫০ বছর পরও আজকে মানুষ অনাহারে আছে, পুষ্টিহীনতায় ভুগছে।

তুমি যুগ স্রষ্টা। তুমি অনেক কিছু দেখতে পেয়েছো, যা আমরা দেখতে পাইনি। ক্ষমতা তোমার লক্ষ্য ছিলো না, তোমার লক্ষ্য ছিলো মানুষের সুখ শান্তি ও সেবা। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এই প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রত্যাশা ছিল আজকে আপনি নিজে এই মাজারে আসবেন।

যদি দুই সপ্তাহ পৃথিবী ভ্রমণ করতে পারেন তাহলে ১০ মিনিটের জন্য হেলিকপ্টারে করে এখানে আসতে পারতেন। ভাসানীর দোয়া নিতে পারতেন। আপনার বাবা বিপদের সময় মওলানার পায়ের তলে এসে বসতেন। আজকে আপনারও সময়ে এসেছে এই মাজারে এসে তার কাছ থেকে দোয়া নেয়ার।

তা নাহলে আপনি যে কত বড় বিপদে আছেন, বুঝতে পারছেন না। একদিকে ধরাই সাপ বসে আছে, একদিকে ‘র’ ‘মোসাদ’ আরেক দিকে মানুষের অনাহার, পুষ্টিহীনতা, জিনিসপত্রের দাম কল্পনাতীতভাবে বাড়ছে। আপনি ভারতের প্রেসিডেন্টকে এনে এর থেকে রেহাই পাবেন না।

রেহাই পেতে পারেন মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে। আগে এক ভুল করেছেন পীরগঞ্জে আপনি যাননি। তারা বলেছেন আমাদের মাকে তো দেখতে পেলাম না। আপনাকে আহ্বান জানাচ্ছি, আপনি হেলিকপ্টার নিয়ে আধঘণ্টার জন্য হলেও মওলানা সাহেবের দোয়া নিয়ে যান।

নিভৃতে এসে তার কাছে কামনা করেন কীভাবে দেশ পরিচালনা করতে হবে। কীভাবে দেশে গণতন্ত্র আনতে হবে। তা না হলে আমাদের সামনে বড় বিপদ। দুই সপ্তাহ আপনি বিদেশে কাটাতে পারেন। নিশ্চয় এক ঘণ্টা এখানে মওলানার মাজারে চুপচাপ দাঁড়িতে তার দোয়া নিয়ে যেতে পারেন।

আপনার বাবার বিপদের সময় তার পাশে একমাত্র মওলানা সাহেব থাকতেন। আজকে আপনিও এসে ওনার দোয়া নিয়ে যান। দুপুরে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নেতৃত্বে ভাসানী অনুসারী পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের নেতারা ভাসানীর মাজারে পৌঁছান।

তারা মজলুম জননেতার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধানসমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।