সরকারি তথ্যে ধর্ষণ-নারী নির্যাতন বেড়েছে

মহামারির মধ্যে বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের হার বেড়েছে। তবে কমেছে মামলার সংখ্যা। সরকারের মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০২০-২১ অর্থবছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‌রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সম্পাদিত কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়ে থাকে।

গত অর্থবছরে মোট মামলার সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার। চলতি অর্থবছরের শেষে এসে দেখা যায়, ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬২টি মামলা হয়েছে। মামলা কমেছে প্রায় ৯১ হাজার।

গত অর্থবছরে ডাকাতির মামলা ছিল ৩৩৬টি, এ বছরে ৩২১টি। রাহাজানি ছিল ৯১৯টি, এ বছরে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৪৮টি। অস্ত্র আইনে মামলা ছিল ২ হাজার ১৬৭টি, এ বছর ১ হাজার ৭৪৭টি।

খুনের মামলা ছিল ৩ হাজার ৪৮৫টি, এ বছরে ৩ হাজার ৪৫৮টি। গত বছরে ধর্ষণ মামলা ছিল ৫ হাজার ৮৪২টি , এ বছরে ৭ হাজার ২২২টি।

নারী নির্যাতন ছিল ১২ হাজার ৬৬০টি, এবার বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৫৬৭টি। গত অর্থবছরে এর আগের বছরের চেয়ে ধর্ষণ বেড়েছে ১ হাজার ৩৮০টি ও নারী নির্যাতন বেড়েছে ১ হাজার ৯৭টি।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৩০ জুন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট আমাদের কাছে এসেছে। তবে নির্বাচন বা তেলের ঘটনাগুলো আসেনি।

তিনি জানান, মামলা প্রায় ৯০ হাজার কমে গেছে। ডিজিটাল আদালত হওয়ার ফলে বাসায় থেকে বা অন্য স্থানে থেকে মামলাগুলো পরিচালনা করা হয়েছে।