বেগম জিয়ার কিছু হলে কোটি জনতা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই সরকারের মধ্যে অন্যের প্রতি সম্মান ও সহনশীলতার ছিটেফোঁটাও নেই।

একটি উন্মুক্ত ও কার্যকরী নির্বাচনের বদলে যাদের জীবনদর্শন একদলীয় নাৎসিবাদের ওপর প্রতিষ্ঠিত, তারা গুরুতর অসুস্থ দেশনেত্রীর মৌলিক মানবাধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন এটাই স্বাভাবিক।

দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার কিছু হলে দেশের কোটি কোটি জনতা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, অবিলম্বে দেশনেত্রীর মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করুন।

মঙ্গলবার ২৩ নভেম্বর বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, দেশনেত্রী যাতে সুস্থ হতে না পারেন সে জন্যই বিদেশে উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে গড়িমসি করছে।

কর্তৃত্ববাদী ক্ষমতাসীনরা মানবতা, বিবেক ও সহমর্মিতার ধার ধারে না। নিজেদের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য ক্রূর জিঘাংসায় ভয়ানক সিদ্ধান্ত নিতে তারা পিছপা হয় না। তিনি আরো বলেন, নানান চর্চার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্র স্থির ও বলশালী হয়।

গণতন্ত্রে অংশগ্রহণমূলক রাজনীতি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু গণতন্ত্র যাতে ধারাবাহিক ও স্থির হতে না পারে, সে জন্যই বৃহত্তম বিরোধীদল বিএনপি এবং এর অবিসংবাদিত নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ধ্বংস করতে এক বিষাক্ত নীলনকশা বাস্তবায়ন করছে সরকার।

তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য পাঠাতে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী ধারাবাহিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের নির্দয় আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।

দুর্বিনীত আক্রমণ, হামলা, নির্যাতনসহ সব ধরনের অত্যাচারের যন্ত্র নামিয়ে আনা হয়েছে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দেশনেত্রীর সুচিকিৎসার দাবিতে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ করে রাখে।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে খায়রুল কবির খোকন কার্যালয় থেকে কোনোভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও নেতাকর্মীরা অনেক রাত পর্যন্ত অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকেন।