বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। সেইসঙ্গে মাথাপিছু আয় ও অর্থনীতির আকার বেড়েছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি সভা শেষে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
সভায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
মাথাপিছু আয় ও মোট জিডিপিসহ অন্যান্য তথ্য একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিবিএস আগে ২০০৫-০৬ সালকে ভিত্তিবছর ধরে জিডিপির হিসাব করত। কিন্তু নতুন হিসাব করা হয়েছে ২০১৫-১৬ কে ভিত্তিবছর ধরে।
এই সময়ে অর্থনীতিতে নতুন নতুন ব্যবসা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং এ কারণে অর্থনীতির আকার বেড়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন অনেক বেড়েছে। মোট জিডিপির আকার ৪১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। বেড়েছে মাথাপিছু আয়ও। মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলার হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সাক্ষরতার হার ৭৫ দশমিক ২ শতাংশ এবং গড় আয়ু বেড়ে ৭২ দশমিক ৮ বছর হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোভিডের কারণে অনেক দেশ নাজুক অবস্থায় গেলেও, বাংলাদেশের সাড়ে ৫ শতাংশের কাছাকাছি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
