ঘাতক ড্রাইভারের ফাঁসি চান মেয়র শেখ তাপস

fozla nur tapos
শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি

নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের হত্যাকারীর বিচারের দাবিসহ ছাত্রদের একমত পোষণ করে, সেই ঘাতক ড্রাইভারের ফাঁসির দাবি করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

বৃহস্পতিবার ২৫ নভেম্বর নগর ভবনের সামনে নিহত শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে এ দাবি করেন তিনি।

তাপস বলেন, আমি জানি এই কষ্ট কী? একজন মেধাবী ছাত্র নাঈম আমার এই সিটি করপোরেশন এলাকার সড়কে আমার করপোরেশনের গাড়ি দ্বারা দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে নিহত হবে,

সেজন্য আমি রাজনীতিতে আসি নাই। আমার কাছে আমার সন্তানের সুখ, সন্তানের হাসি, সন্তানের ভালোবাসা অনেক অনেক মূল্যবান। আপনারা যে দাবি দিয়েছেন, সেই দাবির সাথে আমি শুধু একমত পোষণই না,

শুধু সম্মতিই না — আমি আরও দাবি করি, যেন সেই খুনির ফাঁসি হয়। আমি দাবি করি, এই শহরের সড়কে আর যেন কোনও নাঈমের প্রাণহানি না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, আমি আপনাদেরকে ওয়াদা করছি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সকল জঞ্জাল মুক্ত করব ইনশাআল্লাহ। আমাদেরকে তারপরেও আইনের আওতায় থাকতে হয় আমাদেরকে সরকারি নীতিমালা -নিয়মকানুন মানতে হয়, মেনে চলতে হয়।

সেই নিয়মকানুন মেনেই গাড়ি চালকের গাড়ি চালানো দায়িত্ব ছিলো। সে সেই দায়িত্ব পালন করেনি। আরেকজন ভাড়াটিয়া গাড়ি চালককে দিয়ে গাড়ি চালিয়েছে। সুতরাং সবাইকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে।

তিনি বলেন, যার দায়িত্ব ছিলো তাকে আমরা সাময়িক বরখাস্ত করেছি এবং ইনশাআল্লাহ চাকরি থেকে অপসারণ করবো। যেই চালক গাড়ি চালানো অবস্থায় ছিলো সে খুনি।

তার সর্বোচ্চ শাস্তি ইনশাআল্লাহ আমরা নিশ্চিত করবো। আপনাদের সাথে কণ্ঠে কণ্ঠ লাগিয়ে আমি বলি — সেই খুনির ফাঁসি চাই আমি। তাপস বলেন, কোনও বহিরাগত যেন ডিএসসিসির কোন গাড়ি চালাতে না পারে, সেই কঠোর ব্যবস্থা নেবো।

আপনাদের যে দাবি এসেছে আমি আপনাদের হয়ে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত আপনাদের পক্ষে অ্যাডভোকেসি করবো। সরকারের কাছ থেকে সকল দাবি আদায়ের ব্যবস্থা করবো।

ঢাকা নিরাপদ শহর হবে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার ছিলো। নিরাপদ সড়ক করতে আপনাদের সাথে কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে কাজ করবো। তাপস বলেন, আমিও মাত্র পৌনে চার বছরে আমার পিতা-মাতাকে হারিয়েছি।

আমার মনেও কষ্ট ছিলো। আমার মনেও আক্রোশ ছিলো। বড় হয়ে পিতামাতার হত্যার বিচার নেবো। নিজ হাতে খুনিদেরকে খুন করবো। কিন্তু আমি করি নাই।

আমি সব কষ্ট বুকে ধারণ করে আমার মা’র শর্ত পূরণ করেছি। মানুষের মতো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করেছি। শিক্ষা গ্রহণ করে পিতা-মাতা হত্যার বিচার ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের জন্য এজলাসে দাঁড়িয়েছি।