৩৩০ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস

লিটন দাসের প্রথম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ভর করে দাঁড়িয়েছিল বাংলাদেশ।আশা করা হচ্ছিল বড় সংগ্রহ দাঁড় করাবে বাংলাদেশ।

কিন্তু দ্বিতীয় দিনে ব্যাটিং ধস নামল টাইগারদের। সাত সকালে দ্রুত উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে সাড়ে তিনশর আগেই বেধে ফেলতে পারবে বলে আভাস দিয়েছিল পাকিস্তানের বোলাররা।

সেটাই হলো। ৩৩০ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। মুশফিকের আউটের পর তাইজুলকে নিয়ে একটা জুটি গড়েছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। সেটা ভাঙতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণে ফেরান বাবর আজম। কাজেও লাগল তার এই পরিকল্পনা। আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন তাইজুল।

১ চারে ২৮ বলে ১১ রান করেন তাইজুল। ভাঙে ৪৭ বল স্থায়ী ২৮ রানের জুটি। এরপর আবু জায়েদ ও এবাদতের উইকেট দ্রুত তুলে নেন হাসান আলি। ৫ উইকেট শিকারের মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

সঙ্গীর অভাবে স্কোর বড় করতে পারলেন না মিরাজ। ৬ বাউন্ডারিতে ৬৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন এই স্পিন-অলরাউন্ডার।

আজ দিনের শুরুতেই ফিরে যান সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস। আজ ২২৫ বলে ১১৩ রানে নিয়ে আজ ব্যাট হাতে নামেন লিটন। দ্বিতীয় দিনে এটাই দেখার ছিল, ইনিংস কত লম্বা করেন লিটন।

যোগ করতে পারলেন একরান মাত্র। হাসান আলির বলটি ঠিকমতো ব্যাটের পিঠে লাগাতে পারেননি। বল সোজা প্যাডে লাগলে আউটের আপিল করেন ফিল্ডাররা।

ফিল্ড আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিও সফল হন বাবর আজম। ২২৩ বলে ১১৪ রানে শেষ হয় লিটন দাসের ইনিংস। বাংলাদেশের রেকর্ড গড়া ৫ম উইকেটের জুটি ভাঙে ২০৬ রানে।

এরপর মুশফিককে সঙ্গ দিতে এসে মাত্র ১৯ বল টেকেন অভিষিক্ত খেলোয়াড় ইয়াসির আলী রাব্বি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রান করতে সক্ষম হন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অভিষেক ঘটা এই ব্যাটার ৪ মেরেই ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। হাসান আলির দ্বিতীয় শিকার তিনি। অন্যপ্রান্ত আগলে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় খেলে ৯০ এর ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুশফিক।

কিন্তু পারলেন না নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ৮ম সেঞ্চুরি তুলে নিতে। ফাহিম আশরাফের বলে কট বিহাইন্ড হলেন। থামলেন ৯১ রানে। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন এই মিডল অর্ডার ব‍্যাটার। রিভিউয়ে হারেন মুশফিক। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় ফিরে যেতে হয় তাকে।