জানুয়ারিতে বড় হামলা চালাতে পারে রাশিয়া: ইউক্রেন

জানুয়ারির শেষের দিকে ইউক্রেনে রাশিয়া বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করেছে কিয়েভ। সীমান্তে ভারি অস্ত্রসহ লক্ষাধিক রুশ সেনা মোতায়েন করায় যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

এমন প্রেক্ষাপটে গতকাল শুক্রবার সম্ভাব্য রুশ আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্সাই রেজনিকভ।

কিয়েভের সীমান্তে বিপুল পরিমাণ সেনা মোতায়েন এবং ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার পরিকল্পনা করছে বলে কয়েক সপ্তাহ ধরে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ তাদের মিত্ররা।

কিয়েভ ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা অভিযোগ করেছেন, সীমান্তে এক লাখ ১৫ হাজার সেনা, ট্যাংক ও ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। খবর এএফপির।

আগে ২০১৪ সালেও একইভাবে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সহায়তায় ক্রিমিয়া দখল করে মস্কো। এবারও ইউক্রেনের পূর্বের দুটি অঞ্চল দখল নেয়ার জন্য বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করতে ওই সমরাস্ত্র জড়ো করেছে তারা।

তবে আক্রমণ পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো। গতকাল পার্লামেন্টকে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সাই বলেন, খুব সম্ভবত জানুয়ারির শেষে বড় ধরনের আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা (রাশিয়া)। সব ধরনের সম্ভাব্যতা বিশ্লেষণ করছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দারা।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর শীতকালীন প্রশিক্ষণের সময়কাল শুরু হয়েছে। তারা এরই মধ্যে ইউক্রেনের সীমান্তে সামরিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। সম্প্রতি সেনা সমাবেশ করায় তা বেড়েছে। এই উত্তেজনা কমাতে ন্যাটোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনি ব্লিনকেন বৈঠক করেছেন।

ইউক্রেন সংকট সমাধান করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যাতে দ্রুত আলোচনা করানো যায়, সে বিষয়ে তৎপরতা চালাচ্ছেন কূটনীতিকরা।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়া যে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, তার প্রমাণ রয়েছে। কিয়েভের ওপর যদি মস্কো হামলা চালায়, তাহলে অর্থনৈতিক অবরোধ দেবে ওয়াশিংটন।

এসব অভিযোগকে বায়বীয় বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা সামরিক নয়, এই সংকটের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমাধান চাই।