মুরাদের কথোপোকথন নিম্নরুচির : হানিফ

ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া আইনি লড়াইয়ে মুক্ত হতে ব্যর্থ হয়েছেন।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতা দেখিয়ে নির্বাহী ক্ষমতাবলে দণ্ড স্থগিত করেছেন। তাকে দেশের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে বাস করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

এখন তিনি দেশের সবচেয়ে দামী হসপিটাল এভারকেয়ারে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় বাসায় থেকে তিনি চিকিৎসায় নিতে পারছেন।

বৃহস্পতিবার ৯ ডিসেম্বর দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আউটার স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের তৃণমূল বর্ধিত সভার প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির দণ্ড স্থগিত করে বিদেশ পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। তা আমাদের দেশ কিংবা পৃথিবীর কোনো দেশই পারমিট করে না।

কারণ অন্যদেশে এদেশের আইন ওই কয়েদির ওপর কার্যকর করা সম্ভব নয়। খালেদা জিয়াও কয়েদি, এজন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর সুযোগ নেই।

কয়েদির দণ্ড মওকুফ করতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা আছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিএনপি ক্ষমা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে কোনো আবেদন করেননি। আসলে বিএনপির নেতাদের লক্ষ্য খালেদা জিয়ার শারিরীক সুস্থ্যতা নয়, তার শারিরীক অসুস্থা নিয়ে রাজনীতি করা।

তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন বিএনপি নেতারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ধোঁয়া তুলে সিম্পিথির নামে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।

সরকারের বিরুদ্ধে জনগণকে উসকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চক্রান্তে লিপ্ত আছে।

সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুরাদের নিম্নরুচির কথোপকথনের বিষয়ে জানতে পেরেই প্রধানমন্ত্রী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাকে কেন্দ্রের থেকে অপসারণ করা হয়েছে। মুরাদ জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক।

সেখান থেকে তাকে বহিষ্কার জন্য সুপারিশ করে পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যানির্বাহী কমিটির সভায় তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর ব্যাপারে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, তৃণমূলের কর্মী সভার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে,

সংগঠনের মধ্যে যদি কোনো শৃঙ্খলার ঘাটতি থাকে, তা দূর করে সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করা। সংগঠনের শৃঙ্খলার ঘাটতি দূর করতেই আমরা বসেছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর সবার বিশ্বাস আছে।

দলীয় সিদ্ধান্ত সকলেই মেনে চলবেন। যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।