ইভ্যালির কোনো প্রমোশনে আমি ছিলাম না: শবনম ফারিয়া

আমাকে হয়রানি করার জন্যই এ মামলা করা হয়েছে। কেন হয়রানি, কী জন্য হয়রানি সেটা তো আমি জানি না। আর থানা পুলিশ বলেছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে আমার সম্পৃক্ততা আছে কিনা। আমি শিউর উনারা আমার সম্পৃক্ততা পাবে না। বলছিলেন শবনম ফারিয়া।

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে জনপ্রিয় তারকা তাহসান খান, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়াসহ ৯জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গত ৪ ডিসেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক এ মামলা করেন।

মামলার পর ইভ্যালির সঙ্গে কাজের পরিধি ও মামলার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কথাগুলো বলেন শবনম ফারিয়া।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, তাহসান শবনম ফারিয়া হচ্ছেন তালিকার সাত, আট ও নয় নম্বর আসামী। যেহেতু মামলা হয়েছে তারা আমাদের নজরদারিতে আছেন। যে কোনো সময় গ্রেপ্তার হতে পারেন।

বিষয়টি নিয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, মামলায় আমাকে যে কয়েকটা অপরাধ দেখানো হয়েছে সেগুলোর সাথে আমার মিলছে না। আর আমি এখনো ইভ্যালি থেকে এক টাকাও পাই না।

যে অভিযোগ করেছে সেগুলোর সাথে আমি সম্পৃক্ত না। আমি কখনো প্রমোশন করি নাই। আমি প্রমোশনের জন্য অনেক টাকা নেই। বেতনের টাকা নিয়ে আমি প্রমোশন করব না। আগেই বলেছি চাকরি নেওয়ার সময়।

ফারিয়ার ভাষ্য, ইভ্যালি নিয়ে আমি ফেসবুকে কোনো রকম পোস্ট শেয়ার করিনি। কারণ আমি জয়েন করতে করতেই ওদের ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। আমি কোনো কাজই করতে পারিনি তাদের সাথে। আমি যে মাসে ইভ্যালিতে জয়েন করি সে মাসে ইভ্যালির যে পেমেন্টের পয়েন্ট ছিল তা ৭ দিন পরই বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকার বাংলাদেশে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নেওয়া শুরু করেছে। আর আমি ইভ্যালিতে জয়েন করার পর কখনো ইভ্যালি নিয়ে কোনো পোস্ট দেই নাই। প্রমোশন করি নাই কারণ, ওদের সাথে আমার কথা ছিল আমি সামনে কোনো কাজ করব না। পেছনে থেকে অফিশিয়াল কাজ করব।

মামলায় অন্য আসামিরা হচ্ছেন গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।