নতুন ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে ডেলমিক্রন!

corona

বিশ্বজুড়ে যখন চোখ রাঙাচ্ছে করোনার অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রন। এর মধ্যে নতুন আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে ডেলমিক্রন। নতুন এই ধরন ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে ডেলমিক্রন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংমিশ্রণের রূপটিই হলো ডেলমিক্রন। নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে কোভিড সুনামি সৃষ্টি করতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারনা।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি আলফা, বিটা ও করোনার অন্যান্য ধরন থেকে আলাদা কোনও রূপ নয়। কোভিডের দুই রূপ ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণে গঠিত ডেলমিক্রন ভয়াবহ ভাবে ছড়াচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ডেল্টা মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল। এসময় প্রচুর আক্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়।

বহু মানুষের মৃত্যু হয় এই ভ্যারিয়েন্টে। এছাড়াও ব্রেন ফগ, পেশিতে ব্যথা, চুল পড়া, গন্ধ-স্বাদ চলে যাওয়ার মতো অন্য উপসর্গগুলো তো দীর্ঘ দিন ধরেই কাবু করে রেখেছিল ডেল্টায় আক্রান্তদের।

এর মধ্যেই এলো সাউথ আফ্রিকান ধরন ওমিক্রন। এর সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও উপসর্গ তুলনায় কম। এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে স্বাদ-গন্ধ চলে যায় না।

মাথাব্যথা, গলা ব্যথা, ক্লান্তি ওমিক্রনের প্রধান উপসর্গ। তবে এটি কত দূর মারাত্মক হতে পারে, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।

ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণে নতুন রূপ ডেলমিক্রন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেহেতু ডেলমিক্রন করোনার ডেল্টা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণে গঠিত, তাই এটি অত্যন্ত সংক্রমণযোগ্য হতে পারে।

তবে, এ সম্পর্কে জানতে আরও গবেষণা প্রয়োজন। ডেল্টা মারাত্মক উপসর্গ, তার সঙ্গে ওমিক্রনের মৃদু উপসর্গ— দুটোর প্রভাবই রয়েছে ডেলমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে। পাশাপাশি ডেল্টার মতো ধীরে ছড়াচ্ছে না এই সংক্রমণ। বরং এর সংক্রমণের হার ওমিক্রনের মতো।

ডেলমিক্রমের ক্ষেত্রে যেসব উপসর্গ দেখা দেয়: তীব্র জ্বর, টানা কাশি, স্বাদ-গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া বা কমে যাওয়া, মাথাব্যথা, সর্দি, গলা ব্যথা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সতর্ক করে বলেছেন, বুস্টার ডোজের ওপর এখনই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

আপাতত দু’টি করে ডোজ দিয়ে প্রতিটি দেশকেই ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ৭০ শতাংশ নাগরিককে টিকাদান করতে হবে। সেই বক্তব্য ডেলমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকরী হবে এখনও জানা যায়নি।

যদিও যারা টিকা নিয়েছে বা যারা করোনা থেকে সেরে উঠেছে তাদের মধ্যেও সংক্রমণ ঘটাচ্ছে ওমিক্রন।