ফ্রান্সে আরো কড়া হল নিষেধাজ্ঞা

ওমিক্রন নিয়ে শঙ্কা এড়াতে ফ্রান্স কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। মঙ্গলবার ২৮ ডিসেম্বর বিবিসির করা প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

৩ জানুয়ারি থেকে যাদের কাজের জন্য দূরে যেতে হয়, তাদেরকে বাড়িতে বসে অফিস করতে বলা হয়েছে। কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে বাড়ির ভেতরে থেকে করতে বলা হয়েছে এবং দুই হাজার জনের মধ্যে অতিথি সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ফ্রান্সেই ভাইরাস আক্রান্তের সর্বোচ্চ সংখ্যা রিপোর্ট করা হয়েছে। শনিবার দেশটিতে এক লাখের বেশী সংক্রমণ রিপোর্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে নববর্ষের আগে কোন রকম নিষেধাজ্ঞা বা কারফিউ আনেননি প্রধানমন্ত্রী। ওমিক্রন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ও সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে সারা ইউরোপ জুড়েই নিত্যনতুন বিধিনিষেধ আরোপ চলছে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই স্ট্রেনটি ডেল্টার চেয়ে হালকা। এতে মৃতের সংখ্যা শতকরা ৩০% থেকে ৭০% কম। ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, এই মহামারিটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত একটি চলচ্চিত্রের মতন।

এই সময় তিনি মন্ত্রীসভায় এক সংবাদ সম্মেলনে করোনা বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো ঘোষণা করছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভিয়ের ভেরান বলেছেন করোনা সংক্রমণ প্রতিদিন দ্বিগুণ হচ্ছে সেই সাথে দ্বিগুণ হচ্ছে নতুন ভাবে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা।

নতুনভাবে আরোপ করা নিয়মগুলোর মধ্যে বাইরে জনসমাবেশের সীমাও অন্তর্ভুক্ত, যা পাঁচ হাজার জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এছাড়াও দূরপাল্লার যানবাহনে খাবার,পানি খাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইট ক্লাবগুলো বন্ধ থাকবে। ক্যাফে এবং বারগুলোতে শুধুমাত্র টেবিল পরিসেবা দেওয়া হবে। শহর কেন্দ্রে মাস্ক বাধ্যতামূলক এবং যারা বাড়িতে থেকে অফিস করছেন তাদের সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এইভাবে অফিস করতে হবে।

বুস্টার ডোজ দেয়ার সময়সীমা ৪ মাস থেকে ৩ মাসে কমিয়ে এনেছে দেশটির সরকার। ফ্রান্স সরকার একটি খসড়া বিল অনুমোদন করেছে, যা ১৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। এই খসড়ায় বলা আছে ভ্যাকসিন পাস এর কথা যা কিনা পাবলিক প্লেসে ভ্রমণ পাস হিসেবে প্রয়োজন হবে।

তবে ৩ জানুয়ারি পুনরায় স্কুলগুলো খুলবে। সম্পূর্ণ লক ডাউন বা নববর্ষের আগ পর্যন্ত কারফিউ চালু করেননি দেশটির সরকার মি. কাস্টেক্স। ফ্রান্সে বর্তমানে গড়ে সত্তর হাজার এরও বেশী নতুন সংক্রমণ রয়েছে বলে দেশটির ড্যাশ বোর্ড থেকে জানা যায়।

দেশটির জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে সোমবার(২৮ ডিসেম্বর) ষোলশ-র অধিক লোক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এই নিয়ে হাসপাতালে আক্রান্ত ভর্তির সংখ্যা সতের হাজার।