চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ

সকল চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে একটি সমন্বিত পরিকল্পনা তৈরির মাধ্যমে উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

পাকিস্তান আমলের ১২৫ ডলারের মাথাপিছু আয়ের দেশ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী নেতৃত্বের কারণে দুই হাজার ৫৫৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

শনিবার ১ জানুয়ারি রাজধানীতে বনানীর বিটিসিএল খেলার মাঠে উত্তর সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় বিডি ক্লিন আয়োজিত ‘সেভ আর্থ, সেভ বাংলাদেশ’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে চ্যালেঞ্জ আসবে। নতুন বছরে আমাদের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান সমূহের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা মানুষের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আর তা বাস্তবায়নে ভূমিকা পালন করে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে সকল কিছুতে মানুষের অংশগ্রহণ অপরিহার্য।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক লিডার। তিনি জানতে এবং বুঝতেন বাংলাদেশকে দমায়ে রাখা যাবে না।

এদেশ একদিন উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে। আজ সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভবিষ্যত বাণী সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকার খালগুলো দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা, চারপাশে নদীগুলোর খনন ও সংস্কার করে নৌ চলাচল উপযোগী এবং পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বাসযোগ্য শহর গড়তে ঢাকার দুই মেয়রসহ সবাই নিরলসভাবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সিটি করপোরেশন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। আর এই সংস্থাকে সহযোগিতা করা নাগরিকদের দায়িত্ব। যত্রতত্র বিড়ি-সিগারেটের খোসা ফেললে মাটির গুণাগুণ নষ্ট হয়ে যায়।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পাশাপাশি নিজের বাসাবাড়িসহ আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখা দায়িত্ব ও কর্তব্য। যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশন দূষণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। খাল বিল, নদী-নালা রক্ষা করতে হবে।