শৈলকূপায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দুই দিনে দুই জন নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে দু’দিনে দুজন নিহত হয়েছেন।

শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় জসিম উদ্দীন(৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় ইউনিয়নের ভাটবাড়িয়া নামক স্থানে এ হত্যা কান্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি ওই গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে। নিহতের চাচি সজিরন নেছা জানান, নিহত জসিম ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করেন। সেখানেই তিনি একমাত্র শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করেন।

গতকাল রাতেই বাড়িতে আসেন। শনিবার ঘটনার সময় জসিম বাড়ি থেকে বের হয়ে বাইরে যাওয়া মাত্রই কয়েকজন লোক তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে চয়ে যায়। শৈলকূপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার অর্থি জানান,ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। যে কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান,নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতায় তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তি নৌকা প্রতীকের সমর্থক বলে জানান ওসি।

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যা রাতে একই ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে হারান বিশ্বাস (৬০) এক ব্যক্তি নিহত হন। সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়।

শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার সাইদ জানান, ভোট চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নের কাতলাগাড়ী বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী মাহমুদুল হাসান মামুন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারসের জুলফিকার কায়সার টিপুর সমর্থকদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় অন্তত ২০ জন আহত হয়।

আহতদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হারান মারা গেছে। ঘটনা জানার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং পরিস্থিতি শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।