তীব্র শীতে ঝিনাইদহের জনজীবন বিপর্যস্ত

কনকনে শীত আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ও ঘন কুয়াশায় তীব্র শীতের কারণে ঝিনাইদহের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোরে জেলা শহরে কাজের সন্ধানে আসা হরিণাকুন্ডু উপজেলার চাঁদপুর গ্রামর মোসলেম উদ্দিন তিনি জানান, কাজের সন্ধানে জেলা শহরে এসেছি।

এসে ঘন কুয়াশায় আর কনকনে শীতে কাজ না পাওয়ায় পোস্ট অফিস মোড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছি।শুনেছি ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক রাতের বেলাশ কম্বল বিতরণ করছে শীতার্ত মানুষের মাঝে।

তাই আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে বলতে চাই তিনি যদি ভোরবেলা বেরিয়ে আমাদের মত নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করতেন তাহলে কিছুটা শীত নিবারণ করতে পারতাম।

অপরদিকে শহরের কাঞ্চনপুর এলাকা থেকে ছামছুল নামের অপর শ্রমিকের সাথে কথা হলে তিনি জানান,আজ এতটাই শীত অনুভূত হচ্ছে যার কারণে ঠান্ডা লাগছে।

তাই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছি। ঝিনাইদহ শহরের বর্তমান তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখাচ্ছে গুগোল মাধ্যমে দেখা গেছে।

একান্ত প্রয়োজন ছাড়া জেলা শহর ভোর থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে বেলা যতই বাড়ছে ততোই শীতের তীব্রতা যেন বাড়ছে।সকাল নয়টা পার হলেও এখনো সূর্যের মুখ দেখা যায়নি কোথাও।

কনকনে শীতের কারণে শহরে লোকজন একটু কম। সকাল দশটা বাজলেও সূর্য না ওঠায় শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে জেলার ছয়টি উপজেলার উপর দিয়ে উত্তরের হিমেল হাওয়া বয়ে চলেছে সেই সাথে কুয়াশার কারণে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে।

এ অবস্থায় আজ ভোর থেকে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে । গরম কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।

সকাল থেকে গ্রামের বাজারে লোকজনের চলাচল অনেকটা কমে গেছে।এমনকি জেলা শহরে লোকজন কম।তবে গত কয়েক দিন থেকে হঠাৎ করেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে।

এলাকার বেশিরভাগই খেটে খাওয়া মানুষ শীতে ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে।প্রায় বাড়িতেই গরম কাপড়ের অভাব। সরকারিভাবে শীতবস্ত্র জেলা শহরে বিতরণ করা হলেও এখনো গ্রামে শীত বস্ত বিতরণ শুরু হয়নি।

এলাকার মানুষ বাধ্য হয়ে খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে।তাদের মতে তাদের পরিবারের সকলেই শীতে কষ্টে আছে। আমরা খড় জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছি।

কৃষকরা জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় বীজতলার বীজ নষ্ট হওয়ার আশংকা করছে কৃষকেরা। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ঠান্ডাজনিত রোগও বাড়ছে।

ঝিনাইদহ পৌর সভার সামনে ড্রাইভার আব্দুর রহিমের সথে কথা বললে জানান , ঘন কুয়াশার সাথে উত্তরে হিমেল হাওয়ার করণে কনকনে ঠান্ডা লাগছে এর ফলে আমি ইজিবাইক চালাতে পারছি না।