সৌদি সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

turkey president erdogan

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে সৌদি আরব সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। সোমবার ৩ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিওতে তিনি এ ঘোষণা দেন।

উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্দেশ্যেই তিনি সৌদি সফরের ঘোষণা দিয়েছেন। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে সাংবাদিক জামাল খাসোগির মৃত্যুর পর তুরস্ক ও সৌদি আরবের সম্পর্ক খারাপ হয়। এরপর থেকে এরদোয়ান আর সেখানে যাননি।

এর আগে ২০২১ সালের মে মাসে সৌদি সফরে যান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সে সময় তিনি সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।

জানিয়েছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে ‘কূটনৈতিক টানাপোড়েন’ সমাধানের চেষ্টা চলছে। এরপর ডিসেম্বরে সৌদির যুবরাজের সঙ্গে কাতারে একটি বৈঠক করতে চেয়েছিলেন এরদোয়ান। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।

সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্কে শীতলতা নেমে আসে। এরদোয়ান তখন মন্তব্য করেছিলেন, সৌদি সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

যদিও তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নাম নেননি। এরদোয়ানের মন্তব্যের জবাবে সৌদি আরবও পাল্টা আঘাত করে। তুরস্কের বিরুদ্ধে চালু হয় অঘোষিত বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা।

সে দেশে না যাওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। ফলে তুরস্কের অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ে। এই মুহূর্তে তুরস্কের অর্থনীতি রীতিমতো চাপে রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে যুবরাজের সম্মতিতেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।

যে ১৫ জনের দল খাসোগিকে হত্যা করার জন্য গিয়েছিল, তার মধ্যে সাতজন যুবরাজের এলিট দেহরক্ষী বাহিনীর সদস্য। তারা যুবরাজ ছাড়া আর কাউকে রিপোর্ট করে না।