জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন খুবই অসহায়। যে ফলাফল ধরিয়ে দেওয়া হয়, তারা তাই ঘোষণা করছে।
কোথাও কোথাও প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কলুষিত করছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে হয়ত আন্দোলন করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয় মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির গাজীপুর মহানগরের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বিরোধীদলের উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, এভাবে নির্বাচন হতে থাকলে, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলগুলো হারিয়ে যাবে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, গণমানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে হয়ত আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও দেশের মানুষ প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ পায়নি। সংবিধানের মূল চারটি স্তম্ভের মধ্যে গণতন্ত্র নেই, সাংবিধানিকভাবেই চলছে একনায়কতন্ত্র। গণতন্ত্র না থাকলে জবাবদিহিতা থাকে না। একনায়কতন্ত্রে ক্ষমতাসীনরা আইনের উর্ধ্বে থাকেন।
জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের প্রত্যাশা বোঝে না। তারা তাদের নেত্রীর চিকিৎসা আর এক নেতাকে দেশে ফেরানোর রাজনীতিতে ব্যস্ত।
প্রতি বছর ৬৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে। দেশের মানুষ জানতে চায় কারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তা জানতে চায় দেশের মানুষ।
দেশে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, বড় বড় কমিশনের আশায়। মহানগর জাপার সভাপতি এম এম নিয়াজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারেফ হোসেনসহ দলের অন্য নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।