বিদেশিদের ভুল বোঝানো হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী

hasina
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। স্বাধীনতাবিরোধীরা ষড়যন্ত্র করছে। বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।

দেশ উন্নয়নের মহাসড়ক বেয়ে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এটা অনেকেরই সহ্য হচ্ছে না। দেশ-বিদেশে বসে বাংলাদেশবিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করছে এই অগ্রযাত্রাকে রুখে দেয়ার জন্য।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভাগ্য নিয়ে কেউ যাতে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি রাখতে হবে।

আমাদের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই ব্যাহত হতে দেয়া যাবে না। জনগণই ক্ষমতার উৎস। আমরা জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করি। তাই জনগণের সঙ্গেই আমাদের অবস্থান।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০১৮ সালে আমরা একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শীর্ষক ইশতেহার ঘোষণা করেছিলাম। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য ছিল দক্ষ,

সেবামুখী ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলে সন্ত্রাস, জঙ্গি নির্মূল করে একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা।

জনগণের সরকার হিসেবে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য বলেই আমি মনে করি। গত ১৩ বছরে আমরা আপনাদের জন্য কী কী করেছি, তা আপনারাই মূল্যায়ন করবেন।

তবে আমি দৃঢ়ভাবে বলতে পারি, আমরা যেসব ওয়াদা দিয়েছিলাম, তা সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।তিনি বলেন, পর পর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দিয়ে আপনারা উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সহায়তা করেছেন।

এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি, যাতে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশগুলোর কাতারে শামিল হতে পারে।

এ জন্য অতীতে যেমন আপনারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন, ভবিষ্যতেও আমাদের সঙ্গে থাকবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করছি। তিনি বলেন, দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক আর যত শক্তিশালীই হোক,

তাদের ছাড় দেয়া হচ্ছে না এবং হবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তবে এই ব্যাধি দূর করতে সামাজিক সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আমরা কঠোর হস্তে জঙ্গিদের উত্থান প্রতিহত করেছি। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ পারস্পরিক সহনশীলতা বজায় রেখে বসবাস করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও করবেন।