কখনও বলিনি কাউকে গ্রেফতার করেন: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের নেতাকর্মী ও নির্বাচনী এজেন্টের গ্রেফতার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে।

আমি শুধু শুনেছি বিএনপির এক নেতাকে ধরা হয়েছে তার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কাকে ধরা হয়েছে এটা আমি জানি না আমার জানার বিষয়ও না। এটা প্রশাসন দেখবে।

সারাদিন ব্যস্ত, আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কাউকে কখনও বলিনি কাউকে গ্রেফতার করেন। আমি শুধু চাই ভোটকেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে। কোনো সন্ত্রাসী যেন ভোটকেন্দ্রে ঝামেলা করতে না পারে।

বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিজ এলাকায় গণসংযোগে নেমে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

আইভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যদি অবনতির দিকে যায় তাহলে প্রশাসন তো আছেই। নিশ্চই তারা এটা দেখবে। আমার ওইটা দেখার সময় নেই।

আমার জনগণের কাছে যেতে হবে। তাদের ভোট চাইতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রশাসন দেখবে। এখানে যৌথভাবে প্রশাসন কাজ করছে। এটা দেখভাল করার দায়িত্ব তাদের।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সমস্যা হতেই পারে। আমি মনে করি প্রশাসন অত্যন্ত সচেতন। তারা এগুলো দেখভাল করবে। আমি আমার ভোটারদের বলবো উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবেন। নারায়ণগঞ্জে এর আগেও তিনটা নির্বাচন হয়েছে। সেখানেও টান টান উত্তেজনা ছিল।

কিন্তু সবাই ভোট দিতে গিয়েছে, পরিবেশও অত্যন্ত সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো নারায়ণগঞ্জের পরিবেশটা যেন এমন সুন্দর ও উৎসবমুখর থাকে এবং সে ব্যবস্থা যেন তারা করে।

আইভী বলেন, নতুন ভোটাররা যেভাবে শহরটা চায়। যেমন একটু খেলার মাঠ, খোলা জায়গা, একটা পার্ক আমি এগুলো নিয়ে অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতে আরও কাজ করবো।

নতুন ভোটাররা অনেক সচেতন। তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পারবে আমরা কত কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমরা একের পর এক কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সততা, ঈমান, নিষ্ঠা দিয়ে আমি যেমন দলের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি তেমনি দল মতের ঊর্ধ্বে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসীর সেবা করেছি। নতুন ভোটাররা এগুলো পছন্দ করে যে আমি সত্য কথা বলি। মিথ্যার আশ্রয় আমি নেই না।

আইভী বলেন, কখনও আমি বাড়তি সুবিধা পাইনি আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার সঙ্গে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো।

প্রশাসন কখনও আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, আমি হাতের মুঠোয় নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। আমি সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, তাদের পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।