চীন-ইরানের কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তির বাস্তবায়ন শুরু

গত বছর ইরান ও চীনের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২৫ বছর মেয়াদী অংশীদারিত্বমূলক ব্যাপক সহযোগিতা চুক্তি এখন বাস্তবায়নের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান।

ইরানের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার প্রথমবারের মতো চীন সফরে গিয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে বৈঠকের পর এই ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, চীন সফরের প্রস্তুতির সময়ই দুই দেশের মধ্যে ব্যাপক সহযোগিতামূলক চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য আজকের দিনটিকে ‌‘সূ‌চনা’ হিসেবে নির্ধারণ করেছিলাম।

তবে তিনি এই চুক্তি উপলক্ষ্যে নির্দিষ্ট কোনও প্রকল্প অথবা কাজের ঘোষণা দেননি। ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সময় গত বছরের মার্চে তেহরানে চীনের সঙ্গে কৌশলগত ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

তবে এ দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মাত্রার নিষেধাজ্ঞার কবলে থাকলেও চুক্তিতে অর্থনৈতিক, সামরিক এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে গত তিন বছর ধরে বিশেষ ছাড়ে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনছে যুক্তরাষ্ট্রের চিরবৈরী বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। তবে তেল ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যাপারে কোনও দেশই সঠিক তথ্য প্রকাশ করেনি।

বেইজিং সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পক্ষ থেকে একটি চিঠি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান।

তিনি বলেন, চিঠিতে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‌‘গুরুত্বপূর্ণ বার্তা’ রয়েছে। চিঠিতে কী ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বার্তা আছে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাননি হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ান।

তবে রাইসি প্রশাসন বারবার ‘এশিয়া-কেন্দ্রিক’ বৈদেশিক নীতির ওপর জোর দিয়েছে; যেখানে চীনকে গুরুত্বপূর্ণ ‘ক্রীড়ানক’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সূত্র: আলজাজিরা।