জিয়াউর রহমান বলতেন সমালোচনা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য

Goyessor Ray

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জিয়াউর রহমান বলতেন, সমালোচনা গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। নানা পথ থাকবে, নানা মত থাকবে। আর এগুলো যদি না থাকে তাহলে বহুদল থাকবে কী করে।

বহুমত থাকবে কিন্তু দেশটাকে বাঁচাতে হলে একটা মতে আসতে হবে। সে কারণে আমরা বলেছিলাম নানা মানুষ, নানা মত দেশ বাঁচাতে ঐক্যমত।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, জিয়াউর রহমান মিতব্যয়ী ছিলেন বলে তার গুলশানে কোনো বাড়ি ছিল না। সততার মধ্য দিয়ে পরিবারকে সেই পথটা দেখাতে পেরেছেন।

সেই কারণে খালেদা জিয়া বিতাড়িত হয়েছিলেন জনগণের বাড়ি থেকে, যেহেতু জিয়াউর রহমান তাদের জন্য কোনো আশ্রয় রেখে যেতে পারেননি। তাই খালেদা জিয়া হলো নিরাশ্রিত ভাড়াটিয়া।

তার এই জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের ভেতর থাকা অহংকারবোধ ছাঁটাই করা দরকার। তিনি বলেন, আমরা জাতীয় চাহিদা বুঝি না। আমরা কখনও আমাদের দলীয় স্বার্থের বাহিরে কিছু করতে চাই না,

এইটা আমাদের জাতিগত সমস্যা। অর্থাৎ জাতি কি চায়, জাতির কি চাহিদা এইটা জিয়াউর রহমান বুঝতেন। অনেক কাজে জিয়াউর রহমান সমালোচিত হয়েছেন।

কিন্তু আজকে জিয়াউর রহমানের সেই কাজ গুলোই দেশটাকে টিকিয়ে রেখেছে। খালেদা জিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, যিনি বিজয়ের তাগিদ উপভোগ করেন,

তিনি খালেদা জিয়ার মত আপোষহীন হন। আর খালেদা জিয়াকে যদি আপোষহীন নেত্রী মানি তাহলে আমাদের ও তার মত আপোষহীন হতে হবে।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে বিএনপির আইনজীবীরা কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না এমন মন্তব্য করে বিএনপির আইনজীবীদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন জাসাস নেতা সুরকার ইথুন বাবু।

তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকারের আইনমন্ত্রী বলছে বিদেশে চিকিৎসা নিতে গেলে খালেদা জিয়াকে আবার জেলে যেতে হবে। বিএনপির আইনজীবীরা এভারকেয়ার হাসপাতালকে সাবজেল ঘোষণা করার ব্যবস্থা করছেন না কেন। দেশনেত্রীর এমন অবস্থায় আইনজীবীদের এ ব্যর্থতা আমাকে দুঃখ দিয়েছে।

দলের উচ্চপদস্থ নেতারা এবং আইনজীবীদের প্রতি আমার আবেদন থাকবে, তারা যেন আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হাসপাতালকে সাবজেল ঘোষণা করে তার দ্রুত বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।