যে কারণে মিশা-জায়েদের প্যানেলে মৌসুমী

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আগের প্যানেল থেকে সরে এসে নতুন প্যানেলে নির্বাচন করছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।

গত দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলের বিপক্ষে সভাপতি পদে লড়েন তিনি। এবার ‘প্রতিপক্ষ’ সেই মিশা-জায়েদের প্যানেলের হয়েই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার ‘প্রিয়দর্শিনী’।

এবার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদপ্রার্থী তিনি। গত মেয়াদে মৌসুমীর প্যানেলের ভরাডুবি ঘটে। যে কারণে এফডিসিপাড়ার গুঞ্জন, সেবার মৌসুমীকে নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে তার কিছু কাছের শিল্পীরা পেছন থেকে সরে গিয়েছিলেন। তাই এবার অভিমানে প্রতিপক্ষের দল তথা মিশা-জায়েদ প্যানেলে ভিড়েছেন তিনি।

এমন সব গুঞ্জনের পর মুখ খুললেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত খ্যাত’ এ নায়িকা। জানালেন, কী কারণে এবার মিশা-জায়েদ প্যানেলে যোগ দিয়েছেন তিনি।

বললেন, আগের ইলেকশনে হয়তো আমার ভুল ছিল। স্বল্প সময়ের পরিকল্পনায় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। পরিকল্পনায় ভুল ছিল। তবে এবার সেসব ভুলকে পাশ কাটিয়ে এই প্যানেলে (মিশা-জায়েদ) নির্বাচন করছি। গতবছর থেকেই দেখে আসছি মিশা-জায়েদ শিল্পীদের জন্য ভালো কাজ করছেন।

বিগত দিনে তাদের কাজগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন শিল্পী সমিতির হয়ে তারা সবগুলো কাজই ভালোমতো করেছে। আমি তাদের সেই ভালো কাজের সমর্থক হিসেবেই তাদের প্যানেলের হয়ে দাঁড়িয়েছি।

যেহেতু এখন সিনেমা কম নির্মাণ হচ্ছে তাই আমাদের কাজও কম। কাজ ও অন্যান্য সমিতির সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের সমিতিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। পাশাপাশি শিল্পীদের পক্ষে কথা বলা, তারা যে বড় পরিকল্পনা করছে আশা করি তারা সব বাবস্তবায়ন করতে পারবে।

মৌসুমী আরও বলেন, সমিতির উন্নয়নের জন্য, সবাই একযোগে কাজ করছি। আমরা মনে করি আমাদের সংগঠন টা আমাদের মতোই হোক। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আমাদের অনেকগুলো প্ল্যান রয়েছে, সেসব প্ল্যান সফল হোক আমরা চাই। নির্বাচন ঘিরে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হই।

কিন্তু পারিবারিক বা ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই আমার মিশা, জায়েদ বা কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে। জুনিয়র শিল্পীদের যেমন আমাদের প্রয়োজন, আমাদেরও প্রয়োজন তাদের। আমাদের ডাকে তারা চলে আসে। এ ভালোবাসা তো কোটি টাকা দিয়েও কেনা যাবে না।

সবাইকে নিয়েই এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এখানে একটা হাসির অনেক মূল্য। হ্যাঁ হয়তো আমরা গুটি কয়েক শিল্পী প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছি। কিন্তু এমন অনেকে আছেন যারা এক সময়ে দাপুটে অভিনয় করেছেন। এখন বিপদে আছেন। আমাদের কাজ তাকে সহায়তা করা।

আমরা তো তার ছায়ায় থেকেই এতোদূর এসেছি। কিন্তু তাকে সহায়তা করা আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। একা মিশা বা জায়েদের সম্ভব নয়। এটা করতে পারে সবাই মিলে। তাই আমরা বটবৃক্ষের মতো এক হয়েছি।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে আমরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। অনেককেই দূরে চলে যেতে দেখেছি। কিন্তু এখন আর দূরে থাকার সময় নয়। সেই জায়গাটা থেকে শিল্পীদের সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে।

বড় পদে প্রার্থী হননি কেন সে প্রশ্নে এ চিত্রনায়িকা বলেন, ফ্যামিলিগত সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করতে পারছি না।

তাই আমি জাস্ট কার্যনির্বাহী কমিটিতে দাঁড়িয়েছি। আমি আসলে শিল্পীদের পাশে সব সময় ছিলাম। সে প্রত্যয় থেকে আমি এবারও দূরে নেই। এবার আমি মিশা-জায়েদের সঙ্গে আছি।