সন্ধ্যায় বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে মঙ্গলবার ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় ফিরবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা এভার কেয়ার হাসপাতালের হলরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাডামকে বাসায় নেয়া হবে। তার আগে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা সাংবাদিক দের সঙ্গে কথা বলবেন।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে বাসভবনে নেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে ইতিমধ্যে বাসভবনে কর্মরত সবার করোনা টেস্ট করা হয়েছে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে পুরো বাসভবন।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসক জানান, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের রক্তক্ষরণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে করোনা প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এ অবস্থায় তাকে ফিরোজায় রেখে চিকিৎসার জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য তার বাসাতেই চিকিৎসার প্রাথমিক সব আয়োজন রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নিজেও এখন আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না। এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় আড়াই মাস ধরে রয়েছেন তিনি।

চিকিৎসকরাও মনে করছেন- বাসায় পারিবারিক পরিবেশে রাখতে পারলে খালেদা জিয়ার শারীরিক ও মানিসক ভাবে আরও শক্ত হতে পারবেন।

৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ সর্বশেষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন।

১৩ নভেম্বর তার বাসভবন ফিরোজায় রক্তবমির পরপরই তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এভারকেয়ারের চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তার চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে।

২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো।

তিনবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেলেও চতুর্থবারের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেন তখন। ওই সময়ে চিকিৎসকরা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা অসহায় বোধ করছেন।

বাংলাদেশে এ ধরণের রক্তক্ষরণ সামাল দেয়ার কারিগরি সুযোগ নেই। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত দেশের বাইরে নিতে হবে। তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার সুপারিশও করেন।

পরিবারের পক্ষ থেকেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের অনুমতি নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু আইনি বাধ্য-বাধকতায় দেশের বাইরে যেতে দেয়া সম্ভব নয় বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

সূত্র: বাংলানিউজ