বদলে যাচ্ছে সৌদি আরবের কালেমাখচিত পতাকা!

জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক এবং জাতীয় সংগীতের মর্যাদা রক্ষায় আইনে কিছু পরিবর্তন আনছে সৌদি আরব। ভোটের মাধ্যমে সোমবার এই পরিবর্তনের অনুমোদন দেয় সৌদির মজলিশে শুরা কাউন্সিল।

আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত সৌদির শুরা কাউন্সিলের সম্মতিতে দেশটিতে যেকোনো আইন সংস্কার হয়। সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য এখন সৌদি বাদশাহর অনুমোদন প্রয়োজন।

তবে মজলিশে শুরা সদস্যদের নিয়োগ বাদশাহ দিয়ে থাকেন বলে এই চূড়ান্ত অনুমোদন সহজেই মিলবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন।

নিরাপত্তা ও সামরিক কমিটির প্রধান মেজর জেনারেল আলি এম আল-আসিরি বলেন, রাষ্ট্রের পতাকা, প্রতীক এবং জাতীয় সংগীতের ব্যবহার সংক্রান্ত নিয়মগুলো সংশোধিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

খসড়ায় পতাকা, প্রতীক এবং জাতীয় সংগীত ব্যবহারের ক্ষেত্রে স্পষ্ট কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন এই সিদ্ধান্ত জাতীয় পতাকার অবমাননা ঠেকাতে কার্যকর হবে বলে মনে করছেন আসিরি।

তিনি বলেন, পতাকা বা জাতীয় সংগীত নয়, বরং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধানে পরিবর্তন আনা হবে। তবে আইনে কী পরিবর্তন আসছে, তা স্পষ্ট করেনি মজলিশে শুরা।

কলেমাখচিত সৌদি পতাকার অবমাননা ঠেকাতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সৌদি সরকার। পতাকা অবমাননার দায়ে গত সপ্তাহে চার বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে সৌদি পুলিশ।

তারা সৌদি পতাকা আবর্জনার স্তূপে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সবুজ সৌদি পতাকায় ১৯৭৩ সাল থেকে সাদা হরফের ক্যালিগ্রাফিতে কালেমা উৎকীর্ণ রয়েছে। কালেমার নিচে রয়েছে একটি তরবারি।

সৌদিকে রক্ষণশীল অবস্থান থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছেন সিংহাসনের উত্তরসূরি যুবরাজ সালমান। ‘ভিশন-২০৩০’ অনুযায়ী আনা হচ্ছে নানা সামাজিক সংস্কার।

ঐতিহ্যগতভাবে রক্ষণশীল ইসলামি দেশ হিসেবে পরিচিত সৌদি আরব। কিন্তু হাজার বছরের সেই ঐতিহ্য থেকে ক্রমেই বেরিয়ে আসছে দেশটি। এক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভবিষ্যৎ বাদশাহ মোহাম্মদ বিন সালমান।