সাগর রুনি হত্যার এক দশক, ডিএনএ-তে আটকে তদন্ত

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পর র‌্যাব জানিয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা আলামত পরীক্ষায় দুজনের ডিএনএ প্রফাইল মিলেছে।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ল্যাবে পরীক্ষায় দুজনকে শনাক্ত করা, এমনকি স্কেচ আঁকার কথাও জানানো হয়। এরপর কেটে গেছে আরো পাঁচ বছর। আজ শুক্রবার চাঞ্চল্যকর সেই হত্যার ১০ বছর।

অগ্রগতি সেই দুজনের ডিএনএ নিয়ে সন্দেহ পর্যন্তই। তদন্ত নিয়ে প্রতিবেদন দিতে ৮৫ বার আদালত থেকে সময় নিয়েছে মামলার তদন্ত সংস্থা।

সর্বশেষ গত ২৪ জানুয়ারি তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অ্যাডিশনাল এসপি খন্দকার শফিকুল আলমের আবেদনে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমার নতুন তারিখ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলামের আদালত।

এদিকে হত্যার বিচার চেয়ে হতাশায় ডুবেছে সাগর ও রুনির পরিবার। সন্তান হত্যার বিচার দেখার অপেক্ষায় থেকে গত ৫ জানুয়ারি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন রুনির মা নুরুন্নাহার মির্জা।

সাগর-রুনির মৃত্যুর পর তাঁদের একমাত্র সন্তান মাহির সরওয়ার মেঘ তার নানির কাছেই থাকত। কিশোর মেঘ এখন তার নানিকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছে। অসুস্থ সাগরের মা-ও।

তাঁরা বলছেন, দায়িত্বশীল কেউ তদন্তে আন্তরিক—এটা তাঁরা এখন আর মনে করেন না। অন্যদিকে সহকর্মী খুনের কিনারা না হওয়ায় সাংবাদিকসমাজেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সাগর-রুনি হত্যার বিচার দাবিতে আজ সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হত্যার বিচার চেয়ে স্মারকলিপি দেবেন ডিআরইউ নেতারা।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসা থেকে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙার বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ।