বিএনপির নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই

mahabubul alam hanif
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি দেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল নয়। তারা অংশ না নিলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।

আজ রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির নতুন ভবন পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি ছাড়া আরেকটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন হতে যাচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল নয়, আরো অনেক দল রয়েছে।

নির্বাচনে অংশ নেয়া, না নেয়া তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক গণতান্ত্রিক অধিকার। কোনোদল অংশ না নিলেও নির্বাচন প্রক্রিয়া বন্ধ হবে না।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, স্বাধীনতার গত ৫০ বছরে অনেক রাজনৈতিক দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। কিন্ত তারা কেউ নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করেনি।

তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচন কমিশন নিয়ে কথা বলার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। কারণ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল তারা কিভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে তা দেশের মানুষ জানে?

আবার আইনমন্ত্রী যখন সংসদে নির্বাচন কমিশন আইন উপস্থাপন করলেন তখন তারা আবার বলল কি দরকার ছিল তড়িঘড়ি করে নির্বাচন কমিশন আইন গঠন করার।

এর মধ্যে দিয়েই প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি সব সময় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নীতি অবলম্বন করে। নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে হানিফ বলেন, বিএনপির কোনো নীতি-আদর্শ নেই।

যখন যে কথা বলে সুবিধা আদায় করা যায়, তখন সে কথা তারা বলে। সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা।নির্বাচন কমিশনে সরকারি সুবিধা পায় এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা যেন স্থান না পায় সুধীজনের এমন প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগে নির্বাচন কমিশন গঠন হউক। তখন দেখা যাবে কারা কমিশনে আসছেন।

হানিফ বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন কমিশন গঠন ও নির্বাচন প্রক্রিয়া কোনোটাই বন্ধ হবে না। নীতি আদর্শহীন বিএনপি নিজের স্বার্থে সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা বলে।

নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি নিয়মানুযায়ী কাজ করছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের নাম জমা পড়েছে। এর পরে এ নিয়ে আর কোনো রাজনৈতিক দলের কথা থাকতে পারে না।

পরে, তিনি কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়ায় ট্রমা সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। এসব অনুষ্ঠানে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি,

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জজ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. এস এম মুসতানজীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস