নাম চূড়ান্ত করতে শেষ বৈঠকে অনুসন্ধান কমিটি

নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের নাম সুপারিশে সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে শেষ বৈঠকে বসেছে অনুসন্ধান কমিটি।

এ বৈঠকেই নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশের ১০ নাম চূড়ান্ত করা হবে। পাঁচ সদস্যকে নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কার্টের জাজেস লাউঞ্জে সপ্তম ও শেষ বৈঠকে বসেন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

কমিটির সদস্যরা হলেন হাইকোর্টের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্মকমিশন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

ব্যাপক আলোচনার মধ্য দিয়ে ইসি গঠনে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন’ গত ২৭ জানুয়ারি সংসদে পাস হয়। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কমিটি গঠন করে দেন।

ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটির পরবর্তী সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগের জন্য ১০ জনের নামের তালিকা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করার কথা। ওই তালিকা থেকে অনধিক পাঁচজনকে বেছে নিয়ে রাষ্ট্রপতি গঠন করবেন ত্রয়োদশ নির্বাচন কমিশন। তাদের মধ্যে একজন হবেন সিইসি, বাকিরা নির্বাচন কমিশনার। আর তাদের ওপরই থাকবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ভার।

আইন অনুযায়ী, সার্চ কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নামের সুপারিশ রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেওয়ার কথা। সেই হিসাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় হাতে রয়েছে কমিটির কাছে।

অনুসন্ধান কমিটি গঠনের পর নিজেরা ছয়বার এবং বিশিষ্টজনদের নিয়ে আরো চারবার বৈঠক করে। এসব বৈঠকের মধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে তিন শতাধিক নামের প্রস্তাব পায় কমিটি। গত কয়েকটি বৈঠকে কাটছাঁট করে সর্বোচ্চ ১৩ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে।

তা হয়ে থাকলে শেষ বৈঠকে তিনজনকে বাদ দিয়ে ১০ নাম চূড়ান্ত করে সুপারিশ পাঠাবে অনুসন্ধান কমিটি। গত রবিবার নিজেদের ষষ্ঠ বৈঠক শেষে অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি, বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সপ্তম ও শেষ বৈঠকে সুপারিশের ১০ নাম চূড়ান্ত করা হবে।

তবে ১০ জনের নাম আমরা প্রকাশ করব না। এটা রাষ্ট্রপতির ডোমেইন (অধিক্ষেত্র)। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে দিলে পরে তিনি যদি বলেন আপনারা প্রকাশ করেন, তাহলে আমরা প্রকাশ করব। এটা তাঁর সম্পত্তি, তার কাছেই দিতে হবে। আমাদের প্রকাশ করার কোনো অধিকার আইন নাই ।