জামিন পেলেন শিক্ষক হৃদয় মণ্ডল

‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জের বিনোদপুর রামকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল অবশেষে জামিন পেয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক অতিরিক্ত জেলা জজ মোতাহারাত আক্তার ভূইয়া রোববার তার জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালতে হৃদয়ের পক্ষে ছিলেন শাহীন মোহাম্মদ আমানুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সিরাজ ইসলাম পল্টু।

হৃদয় মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের ১৯ দিনের মাথায় তৃতীয় দফায় শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর হলো।

শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনার সময় এক ছাত্র ধর্মের প্রসঙ্গ তুললে হৃদয় মণ্ডল তা নিয়ে আলোচনা করেন। এক ছাত্র তার আলোচনা মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে পরে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করেন স্থানীয় কিছু লোকজন। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতেই তার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে মামলা করেন স্কুলের অফিস সহকারী আসাদ। পুলিশ ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়।

স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে। এর আগে মুন্সীগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালত এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালত তা তার জামিন আবেদন নাকচ করেন।

এই শিক্ষককে গ্রেপ্তার এবং জামিন না দেওয়ার ঘটনায় দেশে অনেকেই সমালোচনায় মুখর হন। গত ২২ মার্চ গ্রেপ্তার করা হয় হৃদয় মণ্ডলকে।

তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সম্মানের সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

তদন্তের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। খুঁটিনাটি বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত প্রতিবেদন দিলেই প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।