কৃষ্ণসাগরে রুশ যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণ

কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার নৌবহরের একটি যুদ্ধজাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ১৪ এপ্রিল এ বিস্ফোরণের পর সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ‘মস্কভা’ নামে যুদ্ধজাহাজটি।

তবে জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। ইউক্রেন দাবি করেছে, যুদ্ধজাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তাদের সেনারা। খবর ডেইলি সাবাহ’র।

কৃষ্ণসাগরে মোতায়েন রাশিয়ার নৌবহরটি ব্ল্যাক সি ফ্লিট হিসেবে পরিচিত। মস্কভা যুদ্ধজাহাজটি এ বহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ। জাহাজটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদের মজুত ছিল।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বৃহস্পতিবার জাহাজটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ অগ্নিকাণ্ডের কারণেই গোলাবারুদের মজুতে বিস্ফোরণ হয়েছে।

তবে ঠিক কী কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত তা জানায়নি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর নগরী ওডেসার গভর্নর ম্যাকসিম মারচেঙ্কো বলেছেন, দুটি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মস্কভায় আঘাত হেনেছে।

তবে নিজের এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি তিনি। মস্কভা ১৯৮৩ সালে রাশিয়ার নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। এই যুদ্ধজাহাজটিতে ১৬টি জাহাজ বিধ্বংসী ‘ভলকান’ ক্রুইজ ক্ষেপণাস্ত্র আছে।

এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা অন্তত ৭০০ কিলোমিটার (৪৪০ মাইল)। ১২ হাজার ৫০০ হাজার টনের এই যুদ্ধজাহাজটিতে সাধারণত প্রায় ৫০০ জন নাবিক থাকেন।

২০২১ এর এপ্রিলে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল মস্কভাকে ‘কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ’ বলে অভিহিত করেছিলেন।

কিয়েভ বলছে, যুদ্ধের প্রথমদিকে তাদের কৃষ্ণসাগরীয় দ্বীপ স্নেক আইল্যান্ডে মোতায়েন সীমান্তরক্ষীদের এই মস্কভা থেকেই হুমকি দিয়ে আত্মসর্পণ করার জন্য বলা হয়েছিল, আর এর জবাবে এক ইউক্রেনীয় রক্ষী গালি দিয়েছিল। পরে অবশ্য তারা আত্মসমর্পণ করেন।