আওয়ামীলীগ নেতা মগর আলী হত্যাকান্ডে বেনাপোলে শোক মিছিল

বেনাপোল পৌর সভার ৪ নং কাগজপুকুর কাগমারি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মগর আলী হত্যাকান্ডে বেনাপোলে শোক নেমে এসেছে।

যশোর সদর হাসাপাতাল থেকে পোষ্ট মর্টেম করে নিহতর লাশ বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আসলে এক বেদনা বিধুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এসময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেযর ও আশরাফুল আলম লিটন ও দলীয় নেতাকর্মীরা লীয় পতাকা ও পুস্পস্তবক অর্পন এর মাধ্যেমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এ নেতার কফিনে।

লাশ আসার পর সকাল থেকে অপেক্ষমান পৌর আওয়ামীলীগও শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ এর নেতা কর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। লাশ কাঁধে নিয়ে নেতা কর্মীরা পৌর সভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেন।

এবং ”আমার ভাই মরল কেন” জবাব চাই জবাব চাই” শে-াগানে আকাশ বাতাস ভারী করে তোলে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় মগর আলীকে সন্ত্রাসীরা কাগমারি গ্রামে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে।

রোববার বেলা সাড়ে তিনটায় বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের আয়োজনে শোক মিছিল করা হয়। এসময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম শোক মিছিলে অংশগ্রহন করেন।

এরপর বিকাল সাড়ে ৫টার সময় সাবেক ৯২৫ এর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ৪ নং কাগজপুকুর কাগমারি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মগর আলীর জানাযে নামাজে অনুষ্ঠানে মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন, মগর আলী একজন অভাবী মানুষ ছিলেন, কিন্তু লোভী ছিলেন না।

তিনি ছিলেন একজন সৎ আওয়ামী প্রেমী মানুষ। কোন দিন নিজের জন্য এই মানুষটি লের কাছে নেতারে কাছে কিছু দাবি করে নাই। তিনি এলাকার অসহায় গরীব দুঃখী নির্যাতিত নিপিড়ীত মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন।

সদা হাসিমুখের এই মানুষটি সকলের ভালবাসার মানুষ ছিলেন।বিএনপির সময় নির্যাতিত নিপিড়িত মগর আলী বার বার মার খাওয়ার পরও দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আওয়ামীলীগের তথা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুতি হয়নি। তার নামে আজ পর্যন্ত কোন অপবাদ নেই ।

সে এই কাগমারি ওয়ার্ড এর গরীব সাধারন মানুষের জন্য যা কিছু পেরেছেন তাই দিয়েছেন দল ও তার সাধ্য মতো। মগর আলী শিক্ষীত লোক ছিলেন না কিন্তু তার কাজে কর্মে অনেক শিক্ষিত মানুষকে হার মানিয়েছে। এসময় মেয়র লিটন আরো বলেন, আজ শার্শায় বাংলাদেশ আওয়ামীগের নেতাকর্মীরা এক শ্রেনীর দানব দ্বারা নির্যাতিত নিপিড়িত।

তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছেৎ দাবি করেন এই শার্শা উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সহ ৫৮ জন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতা কর্মী হত্যা হয়েছে। সর্বোশেষ হত্যাকান্ডের শিকার হলো মগর আলী। শার্শার এসব হত্যা কান্ডের বিচার দাবি করেন তিনি প্রধান মন্ত্রীর কাছে।

গত শনিবার (১৬ এপ্রিল ) বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ অফিস থেক ইফতারী শেষে বাড়ি যায় মগর আলী। এরপর আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী হারুন, আরব আলী শামসুর রহমান জুয়েল, জাহাঙ্গীর সহ আরো
কিছু দুবৃত্তরা মগর আলীকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে।

এসময় মগর আলীকে তার ছেলে হোসেন ও পৌত্র ইয়াসিন ঠেকাতে আসলে তাদেরও কুপিয়ে মারাতœক রক্তাক্ত যখম করে। হোসেন ও তার ছেরে ইয়াসিন যশোর ও খুলনা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।

এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ কাগমারি গ্রামের শামসুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন, জুয়েল ও আম্বিয়াকে আটক করেছে। বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভুইয়া বলেন, বেনাপোলের কাগমারি গ্রামে যে হত্যা কান্ড সংঘটিত হয়েছে তদন্ত পূর্বক এর সাথে যারা জড়িত তাদের আটক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।