সবারই ইচ্ছে করে আরো দীর্ঘ সময় এই পৃথিবীতে বাঁচতে। কিন্তু বিধির বিধানকে ফেলে দেয়ার সাধ্য পৃথিবীতে কারো নেই। তারপরও মানুষ আশা নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে।
রাজুর আকুতি– “আল্লাহ এই দুনিয়ায় আমি আরো কিছু সময় বাঁচতে চাই– আম্মু, তুমি আল্লাহকে বলো আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে” অসুখে কী দূর্ঘটনায় কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যু যেকোনো বয়সেই হতে পারে।
এটিই নির্মম সত্যি যে, একে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কারো নেই। সংগীতে তালে তাল মিলানো রাজুর কথা নয়, যশোরের কিশোর রাজু বাঁচতে চায় আরো কিছু সময়।
আল্লাহর কাছে রাজু (২০) নামের ছেলেটি বারবার ফরিয়াদ করে -“আল্লাহ এই দুনিয়ায় আমি আরো কিছু সময় বাঁচতে চাই– আম্মু, তুমি আল্লাহকে বলো আমার বাঁচতে ইচ্ছে করে” রাজুর মা খোদার নিকট ছেলের এমন হৃদয় নিংড়ানো আকুতিতে বারবার মূর্ছা যায়।
সংগীত ভুবনে রাজুর শব্দ দর্শক বিমোহিত করলেও যশোরের ছেলে রাজুর শব্দ যেন হারিয়ে গেছে অজানা কোন গন্তব্যে। সদরের দেয়াড়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের রাজুর শরীরে বাসা বেঁধেছে দূরারোগ্য ব্যাধি।
রাজুর দুটো কিডনীই দিনদিন নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে পরিবারটি। রাজুর পিতা মোঃ লিয়াকত হোসেন আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন (অবসর প্রাপ্ত পিয়ন)। ৫ জনের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দিতে সীমাহীন কষ্ট করছে সেখানে ছেলের এমন অবস্থায় দুচোখে অশ্রু ঝরছে।
অভাব অনটনের সংসারে সমাধানের কোন উপায় নেই ! চিকিৎসক বলেছে দুটো কিডনি প্রতিস্থাপন করতে ব্যায় হবে ত্রিশ লক্ষাধিক টাকা। চিকিৎসকের এমন কথায় যেন পরিবারটি স্তম্ভিত হয়ে গেলো বজ্রপাতের মতো। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় ছেলেটি হয়তো ফিরে আসতে পারে সকলের মাঝে।
যশোর কুইন্স হসপিটালের কিডনি বিশেষজ্ঞ ওবায়দুল কাদের উজ্জ্বল বলেন, রাজুর অবস্থা খুব খারাপ এখনি তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা না গেলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। জরুরী ভিত্তিতে ৩০-৩৫ লক্ষ টাকা যোগাড় করতে না পারলে অকালে ঝরে যাবে একটি নিষ্পাপ কিশোর।
দেশ, সমাজের মানবিক গুণসম্পন্ন মানুষের নিকট রাজু বাঁচার আকুতি জানিয়ে একটু সাহায্যের আবেদন করছে। ধনাঢ্য, বিত্তবান, সমাজ হিতৈষী মানুষের নিকট খরচের কয়টা টাকা বাঁচিয়ে হত দরিদ্র রাজুকে বাঁচাতে সবাই এগিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা রাজুর বাবা-মায়ের..
অনুরোধক্রমে সাহায্য পাঠাতে চাইলে যোগাযোগ করুন —
ব্যংক এশিয়া: ১০৮৩৪৪১০২২৫৪৭
০১৭৪২০৮৮৫১৬ রাজু’র মা’র নাম্বার