ঝিনাইদহ পৌরসভাকে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গিকার

ঝিনাইদহ পৌরসভায় সীমানা জটিলতার কারনে প্রায় এক যুগ নির্বাচন বন্ধ ছিলো। পরবর্তীতে নির্বাচন কমিশন পৌরসভায় প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।

কিন্তু নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা না হলেও পৌরসভার মধ্যে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। দীর্ঘদিন পর নির্বাচন হবে এমন আশায় অনেকেই হতে চাই প্রার্থী।

আসন্ন ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে আগ্রহী আসলাম আলী। তিনি প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে তার ওয়ার্ড কে মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ গড়ে তুলবে। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আসলাম আলী জানান,

পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে ৮টি গ্রামে প্রায় ১০ হাজার ভোটার রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ২নং ওয়ার্ড বাসী পৌরসভার কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। ফলে তিনি নির্বাচিত হলে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করবেন বলে বদ্ধ পরিকর।

তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। ১৯৬৮ সালে ১০ মার্চ পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামে আওয়ামী পরিবারে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মৃত আপ্তাব উদ্দীন বিশ্বাস।

তিনি ২০০৭ সালে বিভিন্ন পেশার সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি ও আর্দশকে ভালোবেসে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে বেছে নেন। এরপর থেকে তিনি এলাকার সমাজ সেবা মূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে।

অসহায় মানুষের পাশে থেকে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করেন। ২০১০ সালে তিনি হামলা মামলার শিকার হন। তার দীর্ঘদিনের সেবামুলক কর্মকান্ডে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে কাউন্সিলর হিসেবে সর্বদা পাশে পেতে চান। তিনি ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি নির্বাচিত হলে ২নং ওয়ার্ডের সকল দুর্দশা দুর করবেন ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবেন। পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাটসহ শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করবেন।

আসলাম আলীর এমন সেবামুলক কর্মকান্ডে ও জনপ্রিয়তায় ঈর্ষানীত হয়ে এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসীরা তার নির্বাচনী কর্মকান্ডের বাধা সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।