নাইজেরিয়ায় অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ, নিহত শতাধিক

নাইজেরিয়ার নদী রাজ্যে একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং একটি পরিবেশবাদী গ্রুপের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

শনিবার (২৩ এপ্রিল) রাজ্যের পেট্রোলিয়াম সম্পদ কমিশনার গুডলাক ওপিয়া জানান, একটি অবৈধ বাঙ্কারিং সাইটে আগুন লাগে। এতে একশ জনেরও বেশি মানুষ দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

নাইজার ব-দ্বীপে বেকারত্ব এবং দারিদ্র্য অবৈধ অপরিশোধিত পরিশোধন ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও একটি আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। প্রধান তেল কোম্পানিগুলির পাইপলাইনের ওয়েব থেকে অপরিশোধিত তেল ট্যাপ করা হয় এবং পরে তা অস্থায়ী ট্যাঙ্কে পরিশোধন করা হয়।

তেল পরিশোধনের এই বিপজ্জনক প্রক্রিয়ার কারণে এ পর্যন্ত অনেকগুলো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে একটি অঞ্চল মারাত্মক দূষিত হয়ে কৃষিজমি, খাঁড়ি এবং উপহ্রদগুলি ছড়িয়ে পড়া তেলের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইয়ুথস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার জানিয়েছে, বিস্ফোরণে বেআইনি জ্বালানি কেনার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি পুড়ে গেছে।

আল-জাজিরার ফিদেলিস এমবাহ জানান, দক্ষিণ নাইজেরিয়ার আশেপাশে এরকম কয়েক ডজন অবৈধ তেল ব্যবসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

বেকার সমস্যার কারণে দেশটির তরুণরা বেঁচে থাকার জন্য নিজেরাই এই অবৈধ তেল উৎপাদনে জড়িয়ে পড়েছে। যদিও তারা জানে যে এটি একটি বিপজ্জনক প্রক্রিয়া।

দুর্ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অবৈধ শোধনাগারের মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে এবং তাকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছেন যে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হলে সেখানে ঠিক কী ঘটেছিল তা জানা যাবে।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে রাজ্যটিতে আরেকটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ অন্তত ২৫ জন নিহত হয়।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল যে তারা চুরি করা অপরিশোধিত তেল পরিশোধন বন্ধ করার জন্য একটি ক্র্যাকডাউন শুরু করেছে। কিন্তু তাতে এ পর্যন্ত তেমন সাফল্য নেই বললেই চলে।