সতর্ক না হলে বাড়তে পারে সংক্রমণ: জাতীয় কমিটি

সতর্ক না হলে দেশেও করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৫৭ তম সভা জুমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সভাপতি জাতীয় কারিগরি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং বাংলাদেশে সংক্রমণের হার ভবিষ্যতে বৃদ্ধি রোধে করণীয় বিষয়ে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি মতামত জানতে চেয়েছেন বলে সভায় জানানো হয়।

সভায় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে সুপারিশগুলো-
১। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও ভারতসহ এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক।

জাতীয় কারিগরি কমিটি আশঙ্কা ব্যক্ত করে এখন থেকেই সতর্ক না হলে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল ক্ষেত্রে শতভাগ সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের সুপারিশ করা হয়। সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধিরও সুপারিশ করা হয়।

২। যে সব দেশে সংক্রমণের হার বেশি সে সব দেশ থেকে বাংলাদেশে আগমনের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিশ্চিত করা এবং সকল বন্দরে জনগণের প্রবেশ পথে স্ক্রিনিং জোরদার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৩। আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে বাজার ও কেনাকাটা এবং ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের সময় মাস্ক পরা নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া তারাবির নামাজ ও ঈদ জামাতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৪। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে সতর্ক করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে সভা আয়োজন করে এই বিষয়ক প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতে হবে।

৫। কোভিড নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির মাধ্যমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আয়োজন করে সকলকে কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে সতর্কাবস্থানে থাকতে হবে।

৬। সভায় জিনোম সিকোয়েন্সিং ও সার্ভেলিয়েন্স জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।