শিশুদের খেলার মাঠ দখল করে থানা বানাচ্ছে সরকার : ফখরুল

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভয়াবহ আগ্রাসন এই জাতির উপর শুরু হয়েছে। ইতিহাস, সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে। তারা এখন শিশুদের ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে থানা বানাচ্ছে। এ আগ্রাসন রুখতে হবে, কারণ এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই সরকারের আগ্রাসনটা সর্বগ্রাসী। একদিকে ইতিহাস বিকৃত করছে, অর্থনীতিকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে, অন্যদিকে রাজনীতিকে এক দলীয়করণের দিকে নিয়ে গিয়ে গণতন্ত্রকে সরিয়ে দিয়ে ফ্যাসিবাদী দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই বিষয়গুলো সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে করছে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শেরে বাংলা ফজলুল হকের ৬০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শেরে বাংলা জাতীয় যুব ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, ঢাকা মহানগর বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন, সাবেক ছাত্রনেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।

মির্জা ফখরুল বলেন, এখন পাঠ্যপুস্তকে একজন নেতা ছাড়া অন্য কারও নাম নেই, ইতিহাস নেই।
ফলে আমাদের ছোট ছোট নাতি-নাতনি যারা স্কুলে পড়াশোনা করে, তারা শুধু একজনের নাম জানে। অন্য কারো নাম জানে না। এমনকি এখন যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে তারাও শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাম ভুলে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছেছেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে একটা মাত্র পরিবার, একটি মাত্র দর্শনকে সামনে নিয়ে আসার জন্য আজকে সমগ্র বাংলাদেশের ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে।

প্রেক্ষাপট ছিল এক নেতা এক দেশ, এই মতবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং এছাড়া আর অন্য কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের যা কিছু আছে সব কিছুই ওই কেন্দ্রীক হতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এভাবে রাজনীতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিরোধী দলের রাজনীতিকে ধ্বংস করা হচ্ছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে রাখা হয়েছে।

এই যে মিথ্যাচার, এর জন্যই আমরা প্রতিনিয়ত বলি যে প্রকৃতপক্ষে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

আর এ জন্যই শেরে বাংলা ফজলুল হকের মতাদর্শন আমাদের জন্য প্রাসঙ্গিক। নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের সংঘর্ষ ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, সংঘর্ষে দুজন প্রাণ দিলেন।

অথচ পুলিশ প্রথমেই বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, রিমান্ডে নিয়েছে। অথচ সমস্ত গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠে এসেছে এ ঘটনার জন্য মূলত দায়ী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।