গ্যাসের মূল্য রুবলে না দিলে সরবরাহ বন্ধ: ক্রেমলিন

রাশিয়া গ্যাস সরবরাহকে ব্ল্যাকমেল করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে বলে যে অভিযোগ করা হয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ক্রেমলিন।

একই সঙ্গে গ্যাসের মূল্য রুবলে পরিশোধ না করা হলে সরবরাহ বন্ধের হুমকি দেওয়া হয়েছে মস্কোর পক্ষ থেকে। পাশাপাশি রাশিয়া নিজেকে নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহকারী হিসেবে দাবি করেছে।

রাশিয়া পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর বুধবার মস্কোর বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ আনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। খবর বিবিসির।

ইইউর অভিযোগের জবাবে রাশিয়া বলছে, তাদের (পোল্যান্ড ও বুলগেরিয়া) গ্যাস দেওয়া বন্ধের কারণ হলো— তারা রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

তবে এখন পর্যন্ত কতগুলো দেশ রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করতে রাজি হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।

তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অবন্ধু দেশগুলোর’ আরোপ করা নিষেধাজ্ঞার কারণে নতুন এ আইন তৈরি করা হয়েছে। পেসকভ বলেন, আমাদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রিজার্ভ জব্দ করা হয়েছে। ভিন্ন অর্থে বলতে গেলে চুরি করা হয়েছে। এখানে ব্ল্যাকমেল করার কোনো প্রশ্নই আসে না।

ক্রেমলিনের এ মুখপাত্র বলেন, গ্রাহকরা যদি ‘নতুন নিয়মের অধীনে মূল্য পরিশোধ করতে না চায়’ তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন গ্যাস সরবরাহ বন্ধে যে আদেশ দিয়েছেন তা ‘অবশ্যই প্রয়োগ করা হবে’।

ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ করতে বাধ্য করার জন্য রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এ জন্য রাশিয়ার সঙ্গে অনেক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে রুশ গ্যাসের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল ইউরোপকে ‘শাস্তি’ দিতে নতুন আইন চালু করে মস্কো। ‘অবন্ধুসুলভ’ দেশগুলো থেকে গ্যাসের ‍মূল্য রুবলে আদায় করার কথা বলা হয়েছে সে আইনে। তবে এখনও হাঙ্গেরি ছাড়া অন্য কোনো দেশ রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধে রাজি হয়নি।