যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ক্ষেপেছে চীন

china usa

তাইওয়ানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে সামরিক খাতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চীন সামরিক অভিযান চালালে তা প্রতিরোধ করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তবে ওয়াশিংটনের এমন সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছে বেইজিং।

তাইওয়ান নিয়ে বরাবরই কঠোর নীতি অনুসরণ করে চীন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল অঞ্চলটি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের পর আবারও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বেইজিং-ওয়াশিংটনের মধ্যে।

মার্কিন সিনেট সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ভবিষ্যতে তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে চীন। বিষয়টি মাথায় রেখে তাইপেকে সব ধরনের সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৈঠকে ব্লিঙ্কেন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তাইপের কাছে দুই হাজার কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম ও পরিষেবা বিক্রি করেছে ওয়াশিংটন। অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে আরও সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, তাইওয়ান ইস্যুতে আমাদের পরিকল্পনা স্পষ্ট। অঞ্চলটির নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং চীনের তরফ থেকে যেকোনো হামলা হলে তা প্রতিহত করার জন্য তাইপেকে প্রস্তুত করতে সম্ভাব্য সব কিছুই করবে যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে সহজভাবে নেয়নি বেইজিং। এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনা দূতাবাস জানায়, তাইওয়ান চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

এ ইস্যুতে ভবিষ্যতে কোনো মন্তব্য করার বিষয়ে ওয়াশিংটনের সতর্ক থাকা উচিত। তাইওয়ানকে চীনের মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে বেইজিংয়ের চেষ্টার কমতি নেই।

দীর্ঘদিন ধরেই অঞ্চলটির চারদিকে সামরিক কর্মকাণ্ড জোরদার করেছে তারা। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিভিন্ন মন্তব্য এবার তাইপের সামরিক খাতে মার্কিন সহায়তার বিষয়টিকে তাই হালকাভাবে নিচ্ছে না বেইজিং।