কেন প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি গেলেন শাহবাজ

ক্ষমতা গ্রহণের পর এই প্রথমবার সৌদি আরব সফরে গেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ ছাড়েন তিনি।

বিশাল বহর নিয়ে সৌদি আরব সফর করায় শাহবাজের সমালোচনা করেছে ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ পাকিস্তান (পিটিআই)। খবর ডনের।

নির্বাচিত হওয়ার পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে যে ফোনালাপ হয়েছিল, সেখানেই সৌদি আরব সফরের আমন্ত্রণ পান শাহবাজ শরিফ।

এ ছাড়া কৌশলগত সম্পর্কের কারণে ঐতিহ্যগতভাবেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের প্রথম বিদেশ সফর হিসেবে সৌদি আরব এবং চীন যেতে দেখা যায়। এ ছাড়া পাকিস্তান সরকারের অর্থনৈতিক সংকটে সৌদি আরব সব সময় দেশটিকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।

বিমানবন্দর ছাড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ বলেন, এ সফরের মধ্য দিয়ে আমাদের ভ্রাতৃত্ব ও বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে। বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি আরবের শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

সৌদি আরবকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় বন্ধু আখ্যায়িত করেছেন তিনি। পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, শাহবাজ শরিফের এই সফর ২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

বুধবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের একদল প্রতিনিধি এই সফরে রয়েছে। শাহবাজের সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।

গতকাল থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এ সফরে শাহবাজ শরিফের সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য, শরিক দল ও পরিবারের সদস্য মিলিয়ে মোট ৫৩ জন থাকবেন।

প্রতিনিধি দলে মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা আসাদ মাহমুদ, বিলাওয়াল ভুট্টো ও শেগুফতা জামানিও থাকবেন। সরকারি খরচে শাহবাজ শরিফের সৌদি সফরে বিশাল বহর নিয়ে যাচ্ছেন বলে পিটিআই নেতারা সমালোচনা করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম জানিয়েছেন, শাহবাজ শরিফ বাণিজ্যিক ফ্লাইটে সৌদি যাবেন এবং তার সফরসঙ্গীরা নিজের খরচ নিজে বহন করবেন।