বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরকিপ না থাকায় বন্ধ ঘোষনা

দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরকিপ না থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে।

ফলে পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরকিপের দাবিতে আগামী ১৭ মে থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি। শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি মালিক সমিতি সাধারন সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী।

এসময় তিনি জানান, বেনাপোল বন্দর দেশের মধ্যে সর্ব বৃহত্তর হওয়া সত্ত্বেও এখানে ভারি পণ্য ওঠানো নামানোর জন্য পর্যাপ্ত ক্রেন ও ফরকিপ নেই। আর যে গুলো আছে তার মধ্যে কয়েকটা কিছুটা ভালো থাকলেও পণ্য খালাস করতে গিয়ে বার বার নষ্ট হয়ে যায়। এবং এ ক্রেন ও ফরকিপ চালকেরাও অদ।

ফলে এ বন্দরে আমদানিকৃত ভারি পণ্য খালাস করতে দীর্ঘদিন সময় লেগে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে এ বন্দর থেকে। যার ফলে আগামী ১৭ মে থেকে অনিদিষ্ট কালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এছাড়া এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানালেও তিনি বিষয়টি আমলে নেয়নি।

এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদারকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেনি।

বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী এস সর্দারের প্রতিনিধি নয়ন জানান, এ বন্দরে প্রায় সব গুলো ক্রেন ও ফরকিপ অকেজো হয়ে গেছে। এবং যে ক্রেন ও ফরকিপ একটু ভালো আছে সেগুলোও বার বার নষ্ট হয়ে যায়।

যার ফলে গত ২৫ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত তার ৭০ ট্রাক পণ্য আমদানি হলেও ক্রেন অকেজো থাকায় খালাস মাত্র ৩ ট্রাক পণ্য। ফলে তাদের প্রতিদিন বাড়তি ট্রাক ভাড়া দিতে হচ্ছে। এতে করে তাদেরকে লোকসানে পড়তে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরে ক্রেন ও ফরকিপ সরবরাহ কারি প্রতিষ্ঠান ব্লাক বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজের ম্যনেজার মিল্টন জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বর্তমানে অধিক পরিমানে পিডিপি ( বিদ্যুৎ টাওয়ারের মালামাল) এ্যাংগেল আমদানি হচ্ছে। এতে করে এ টিটিবি এ্যাংগেল ওঠাতে ও নামাতে যেয়ে তাদের বেশ কিছু ক্রেন ও ফরকিপের যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েছে। ফলে পণ্য ওঠাতে নামাতে সমস্যা হচ্ছে।

উল্লেক্র বেনাপোল ওই প্রতিষ্ঠানের ৬ টি ক্রেনের মধ্যে ৩ টি সচল আছে।এবং ১০ টি ফরকিপের মধ্যে ৮ টি সচল আছে। এবং খুব দ্রুত আরো দুটি ক্রেন আনা হবে বলে তিনি জানান সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার।