রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটোতে আবেদন করবে ফিনল্যান্ড

রাশিয়ার হুমকি সত্ত্বেও ন্যাটোতে যোগদানের আবেদন করবে ফিনল্যান্ড বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার।

এর মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিনের নিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকেও পিছনে ফেলে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবব্ধ স্ক্যান্ডিনেভিয়ার দেশটি।

রোববার (১৫ মে) ন্যাটোতে আবেদনের ঘোষণা যৌথভাবে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সৌলি নিনিস্তো এবং প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন।

তারা বলেছেন, পদক্ষেপটি এগিয়ে নিতে সংসদে অনুমোদন করা হবে। হেলসিঙ্কিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি পার্লামেন্ট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার আবেদনের সিদ্ধান্ত অনুমোদন দেবে।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনগুলোতে এটি প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্টের সাথে একটি শক্তিশালী আদেশের ভিত্তি হবে। আমরা ন্যাটো সদস্য দেশের সরকার এবং ন্যাটোর সাথে যোগাযোগ রেখেছি।

ফিনল্যান্ডের এই পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া ও ফিনল্যান্ডের ৮৩০ মাইল সীমান্তে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটকে চলে আসবে। তবে চূড়ান্ত হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে কারণ ন্যাটের বর্তমান সদস্য ৩০ দেশেরর আইনসভাকে অবশ্যই নতুন আবেদনকারীদের অনুমোদন করতে হবে।

বিশ্বের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ রাশিয়ার ক্রোধ উসকে দেওয়ার ঝুঁকিও রাখে। যার আভাষ গতকাল শনিবার দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে তিনি শনিবার ফিনিশ প্রেসিডেন্ট সৌলি নিনিস্তোকে বলেছেন সামরিক নিরপেক্ষতা ত্যাগ করে ন্যাটোতে যোগ দেওয়া একটি “ভুল সিদ্ধান্ত” হবে।

এদিকে শনিবার, পেমেন্ট পাওয়ার সমস্যার কারণে নর্ডিক দেশে রাশিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

শনিবার নিনিস্তো পুতিনের বক্তব্যের জবাবে ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে বলেছেন, ২০২১ সালের শেষের দিকে রাশিয়ার দাবি অনুসারে ন্যাটোতে যোগদান থেকে বিরত রাখা হয়েছিল।

কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার ব্যাপক আক্রমণ ফিনল্যান্ডের নিরাপত্তা পরিবেশকে পরিবর্তন করেছে। নতুন করে ভাবতেও হচ্ছে।

এদিকে সুইডেনও নিরাপত্তা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছে। দেশটি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য একই ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র: সিএনএন